নাগরিক রিপোর্ট॥ পরকিয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন ঢাকা-বরিশাল রুটের সুরভী-৮ লঞ্চের যাত্রী আখি আক্তার ওরফে শারমিন (২০)। একই কেবিনে ঢাকা থেকে বরিশালে আসার সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে প্রেমিক সুমন (৩২)। লঞ্চ বরিশালে পৌছার পর লাশ কেবিনের মধ্যে আটকে রেখে সুমন পালিয়ে যায়। র্যাব-৮ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গ্রামের বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করলে লঞ্চ থেকে নারী যাত্রীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন হয়। সে প্রেমিকা আখিকে হত্যার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।
ভান্ডারিয়া উপজেলার নকবুল্লা গ্রামের সিপাহীবাড়ীর মানিক সিপাহীর ছেলে সুমন ঢাকা সদরঘাটে ফল ব্যবসায়ী। র্যাব-৮ জানিয়েছে, রোববার রাত সাড়ে ৯টায় গ্রামের বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। শারমিনকে হত্যার পর বরিশাল লঞ্চঘাটে নেমে সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। সোমবার দুপুরে নগরীর রূপাতলীতে র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সুমনের স্বীকারোক্তীর বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, মোবাইল ফোনে শারমিন ও সুমনের মধ্যে পরিচয় হয়। উভয়ে বিবাহিত হলেও তারা তা গোপন রেখে পরকিয়ায় জড়ায়। গত শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে সুরভী-৮ লঞ্চে কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত কেবিন ভাড়া নিয়ে তারা বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সুমন র্যাবকে জানিয়েছে, গভীর রাতে কেবিনে অনৈতিক সম্পর্ক করার জন্য সুমন শারমিনকে প্রস্তাব দেয়। তবে শারমিন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে শারমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। সকালে লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌছলে কেবিন বাহির থেকে আটকে সুমন পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার প্রত্যুষে সুরভী-৮ লঞ্চ বরিশালে পৌছলে অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। লঞ্চের নিচতলায় পেছনের দিকে এক কর্মচারীর কেবিন ভাড়া নেয়া যাত্রীরা না নামায় সকাল ৮টায় তাদের খোঁজ করতে গিয়ে শারমিনের মরদেহ দেখতে পান কর্মচারীরা।
নিহত শারমিন বাকেরগঞ্জ উপজেলার বড়পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারীর মেয়ে। তার বাবা জানান, শারমিন নারায়গঞ্জে আদমজী ইপিজেড এলাকায় অনন্তা নামক একটি গার্মেন্টর্স প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন। নারায়নগঞ্জে সেলিম নামক এক যুবককে বিয়ে করলেও স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলনা। দুই বছরের সন্তান থাকতো বাকেরগঞ্জের নানা বাড়িতে।
২০১৯-০৭-২২