দিনে মুচলেকা দিয়ে রাতে শিশু বউকে বরন

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। সেসময় প্রশাসন বিষয়টা জানতে পেয়ে বিয়ে ভেঙে দেয় এবং দুই পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মুচলেকা উপেক্ষা করে ওই দিন রাতেই গোপনে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে স্কুলছাত্রীকে বর পক্ষের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা রদক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করলেও আজ শুক্রবার পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামের মো. আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন লিমনের (৩০) বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বর পক্ষসহ কনের বাড়িতে মেহমান হিসেবে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসনের লোকসহ তিন শতাধিক লোক বিয়ের আয়োজন শেষে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে।
এ সময় বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহমেদকে অবহিত করলে তার নির্দেশে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় কনে বাড়ির বিয়ের গেট ভেঙে দেওয়া হয়।
পরে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেনের উপস্থিতিতে কনের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত দাম্পত্ত সম্পর্ক স্থাপন করবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়ি ত্যাগ করেন। প্রশাসনের লোকজন কনের বাড়ি থেকে চলে আসার পর ওই দিন রাতে বর পক্ষ পুনরায় কনের বাড়ি এসে কনে পক্ষের সম্মতিতে কনেকে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহম্মেদ বলেন, ‘মুচলেকা দেওয়ার পরও বর ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *