মন ভালো নেই লেবুখালী ফেরীর দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : লেবুখালী ফেরীঘাটে ভাতের দোকানী সোহাগ খান বংশ পরম্পরায় এ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তার নিজের ২৮ বছর বয়সের বেশীরভাগ সময়ই কেটেছে এ দোকানে পিতার সঙ্গে। সেতু চালু হলে বন্ধ হবে ফেরী। তার হোটেলও ক্রেতা আসবেনা। এ নিয়ে উদ্বীগ্ন তার গোটা পরিবার।  ফেরীতে ভাসমান আমড়া বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও ডিম বিক্রেতা মো. সাইদ বলেন, মৌসুমে আমড়া থেকে শুরু করে শষা ও ডিম বিক্রি করে প্রতিদিন এক হাজার টাকার বেশী আয় করতেন তারা। ফেরী বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিকল্প পেশার কথা ভাবছেন তারা।

কাল রোববার বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে নির্মিত পায়রা সেতু উদ্বোধন হবে। এরপরেই বন্ধ হয়ে যাবে লেবুখালী ঘাটের ফেরী। যানবহনগুলো সেতুর ওপর দিযে পায়রা নদী অতিক্রম করবে। এতে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আনন্দিত। তবে মন ভাল নেই লেবুখালী ফেরীঘাটের  সোহাগ, সাইফুল সাইদের মতো দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর।  ফেরীতে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পন্য বিক্রি করে সংসার চালাতেন তারা। ফেরী বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দুই শতাধিক পরিবারের মানুষের মুখে সেতু উদ্বোধেরন আনন্দ নেই।  বিকল্প পেশার কথা ভাবছেণ তারা।

ফেরীর বরিশাল প্রান্তের পন্টুন সংলগ্ন দোকানী কাওসার হোসেন ও মিজান সওদাগর বলেন, ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে ফেরীঘাটের ব্যবসার উপর তাদের পরিবার পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সেতু নির্মান ভালোভাবে গ্রহন করলেও মনে মনে খটকা বেঁধেছে ফেরী চলাচল বন্ধ হলে কিভাবে চলবে সংসার।

হকারদের দলনেতা মো. আলম ফরাজি বলেন, ফেরীর দুইপ্রান্তে দুইশতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। শুধুমাত্র ফেরীর ভাসমান হকার ছিলো ৫০ জন। তারা পালাক্রমে দুইশিফটে আমড়া, পেয়ারা, চানাচুরসহ খাবার ও বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করতেন যাত্রীদের কাছে। পূনর্বাসনের দাবীতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হকাররা মানবনবন্ধন করেছেন। তবে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি বলে জানান মো. আলম ফরাজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *