দুপক্ষের বিরোধে মেহেন্দিগঞ্জে ইউনিয়ন আ’লীগ কার্যালয়ে তালা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দুইপক্ষের বিরোধের জেরে দলীয় অফিসে তালা মেরে দেয়া হয়েছিল। গতকাল শনিবার দলীয় অফিসে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী আহ্বান করেছিল উভয়পক্ষ। শুক্রবার দিবাগত রাতের আধারে কে বা কারা দলীয় অফিসে তালা মেরে দেয়।
এনিয়ে গতকাল শনিবার সারাদিন আন্ধারমানিক ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করে। তালা মারার জন্য এক পক্ষ অপরপক্ষকে দায়ী করেন। বিবাদমান দ্ইুপক্ষের মধ্যে এক পক্ষ স্থানীয় সাংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ দেবনাথ গ্রুপ ও অপরপক্ষ জেলা আওয়ামীলীগের গ্রুপ বলে স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহদত হোসেন মাসুদ (ইউএনও) শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাতদের লাগানো তালাটি ভেঙ্গে দলের অফিসে নতুন আরেকটি তালা লাগিয়ে দেন এবং উভয়পক্ষের হাতে পৃথক দুটি চাবি হস্তান্তর করেন। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের মুলাদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপর মো. মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, ইউএনও নিজে উপস্থিত থেকে অজ্ঞাতদের লাগানো তালাটি ভেঙ্গে দেন। পরে আরেকটি নতুন তালা লাগিয়ে দুইপক্ষের হাতেই চাবি দিয়েছেন। প্রশাসনের অনুরোধে কোন পক্ষ কর্মসূচী পালন করেনি। অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউনিয়নে এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ গ্রুপের সমর্থক আলাউদ্দিন কবিরাজ বলেন, সংসদীয় আসন হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ সর্বত্র স্থানীয় এমপি পংকজ দেবনাথের পক্ষ-বিপক্ষ দুটি গ্রুপ সক্রিয়। আন্ধারমানিক ইউনিয়ন দলীয় কার্যালয়ের চাবি উভয়পক্ষের কাছে ছিল। শুক্রবার তারা (আলাউদ্দিন কবিরাজ) জানতে পারেন এমপি গ্রুপ ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠনের জন্য শনিবার দলীয় কার্যালয়ে সভা করবেন। এ খবর জানতে পেরে তারাও শনিবার দলীয় কার্যালয়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুুতি সভা আহ্বান করেন। এনিয়ে ইউনিয়নে উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার রাতে এমপি গ্রুপ দলীয় কার্যালয়ে সভার পর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে উস্কানীমুলক শ্লোগান দেয়। শনিবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগ গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে দরজায় আরেকটি তালা লাগানো দেখতে পান।
এমপি গ্রুপের সমর্থক আন্ধারমানিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বহিস্কৃত সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা শনিবার দলীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন। সকালে দলীয় কার্যালয়ে এসে নতুন আরেকটি তালা মারা দেখতে পান। কারা এ তালাটি মেরেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
এ বিষয়ে জানতে মো. শাহাদত হোসেন মাসুদ মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *