বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াাতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীমীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদল ৫ হাজার ৭০০ করে সমান সমান ভোট পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন শেষে রাতে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, ভোটের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযাযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ সময় বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিয়া শারমিন সহ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভোট গণনায় এক ভোট গণনা হয়নি দাবি করে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, নৌকায় সিলকৃত একটি ব্যালট কেন্দ্রের বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে সেটা তিনি পেয়ে ভোট গননা কেন্দ্রে জমা দিতে গেলে সেখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটি গ্রহন করেনি। ফলে তার এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটে সমতা হয়েছে। তাকে হারানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদল পুনরায় ভোট গণনা দাবি করে বলেন, আমি এ নির্বাচনে জয়লাভ করেছি। কিন্তু আমাকে ষড়যন্ত্র করে সরকারদলীয় প্রার্থী জয়লাভ করতে দেয়নি। তাই পুনরায় ভোট গণনা হলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
এদিকে ভোটে সমতা হওয়ায় এ ইউনিয়নে কাউকেই চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা করেনি নির্বাচন কমিশন। ফলে পুনরায় এই দুজন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নৌকার প্রার্থী এ সিদ্ধান্ত না মেনে তার একটি ভোট কম গনণা করা হয়েছে দাবি করেন এবং নিজে ও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শহরের প্রধান সড়কটি অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির জানান, নৌকায় সিলকৃত একটি ব্যালট কেন্দ্রের বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে সেটা তিনি পেয়ে ভোট গননা কেন্দ্রে জমা দিতে গেলে সেখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটি গ্রহন করেনি। ফলে তার এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটে সমতা হয়েছে। তাকে হারানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলেও দাবি করেন তিনি। সমাবেশ করেন। এতে প্রায় দুই ঘন্টার জন্য এই এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ব্যালট বাক্সের বাইরে থেকে সিল মারা ব্যালট এনে গননায় অন্তর্ভুক্ত করার কোন সুযোগ নেই। এটি আইন বহির্ভূত। বালীয়াতলি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী প্রাপ্ত ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় ওই ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এবিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১১ নভেম্বর। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বদ্বিদ্বতা করেন। তবে নৌকা মার্কার প্রার্থী ও আনারস মার্কার প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ ইউনিয়নে। তারা দুজনেই ৫ হাজার ৭০০ করে ভোট পেয়েছেন। অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৃৃ৫ হাজার ১০০ ভোট।
২০২১-১১-১২