ল’ কলেজে প্রবেশপত্র পেতে ফি ৫০০ টাকা!

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
এলএলবি শেষ বর্ষের পরীক্ষা আজ শুক্রবার। পরীক্ষার আগের দিন বৃহস্পতিবারও বরিশাল শহীদ অ্যাডভোকেট আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের অনেক পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পেয়ে বিরম্বনায় পরেন। তার উপর প্রবেশপত্র বাবদ ৫০০ টাকা ফি নেয়া হয়েছে বলে ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। কলেজ সুত্র জানিয়েছে এলএলবি শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী ৪৬৮জন বলে। এদিকে প্রবেশপত্রের নামে শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ লক্ষাধীক টাকা ফি আদায়ের অভিযোগ উঠলেও কর্র্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন।

রংপুর থেকে সহধর্মিনীর এলএলবি পরীক্ষার জন্য আসেন জনৈক চাকুরেজীবী। তার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ফোনে সকাল ১০টা থেকে এডমিটকার্ড দেয়ার কথা বললেও বিকেলে দিয়েছে। সাথে দিতে হয়েছে ৫০০ টাকা। এর রশিদও দিয়েছে। চরম দুর্ভোগের পর বাড়ি যেতে না পেরে স্ত্রীকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে রাতযাপনে উঠেছেন।

এলএলবি শেষ বর্ষের এমন একাধিক পরীক্ষার্থী বৃহস্পতিবার জানান, শুক্রবার পরীক্ষা। কিন্তু প্রবেশপত্রের জন্য পরীক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার সকালে আসতে বলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাই বরিশাল নগরীসহ ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পরীক্ষার্থীরা সকালে আসেন প্রবেশপত্র নিতে। ওই প্রবেশপত্র বিতরন করা হয় বিকেল। সাথে এডমিট কার্ড বাবদ ৫০০ টাকা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের রশিদও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, ল কলেজে নানা অযুহাতে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। কিন্তু মুখফুটে কথা বলার সুযোগ নেই। ক্লার্ক মহসিন প্রবেশপত্র বাবদ ৫০০ টাকা আদায় করছেন বলে তারা জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী ৪৬৮ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এডমিট কার্ড বাবদ ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ফি বাবদ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

তবে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রবেশপত্র ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরীক্ষাথীরা এ অভিযোগ করেছেন বললে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘অভিযোগ অনেকেই অনেকভাবে করতে পারে।’ সকালে আসতে বলে বিকালে প্রবেশপত্র প্রদান করে পরীক্ষার্থীদের দূর্ভোগে ফেলা প্রসঙ্গে উপাধ্যক্ষ বলেন, বিষযটি তার জানা নেই। তিনি কলেজে নেই।

এব্যপারে বরিশাল শহীদ অ্যাডভোকেট আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের গভর্ণিং বডির সদস্য অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, ‘আগে আমরা ১০০ টাকা নিতাম প্রবেশপত্র বাবদ। এখন কেন ৫০০ টাকা নেয় তা জানা নেই। এটি খতিয়ে দেখা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *