নৌযান ধর্মঘটে অচল বরিশাল নদীবন্দর

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ ১৫ দফা দাবীতে নৌযান ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল নৌবন্দর। বুধবার ভোর থেকে বন্দর থেকে অভ্যন্তরীন কোন লঞ্চ চলাচল করা হয়নি। ঢাকা-বরিশাল রুটের সহ সকল রুটের লঞ্চগুলো সকালেই মাঝ নদীতে নিয়ে রাখা হয়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন যাত্রীরা।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মো: মজিবর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ৮টায় তাদের দাবী লিখিতভাবে চুড়ান্ত করছেন না বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান। যেকারনে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশে শুরু হয় অবিরাম নৌযান ধর্মঘট। নৌযান শ্রমিকদের ৬টি সংগঠনের জোট নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এ ধর্মঘটের ফলে যাত্রীবাহি ও পণ্যবাহিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম জানান, ১৫ দফা আদায়ে গত ১৫ এপ্রিল ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের প্রথম দিন শ্রমিক অধিদপ্তর, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ ত্রিপাক্ষীয় বৈঠক করে দাবীগুলো বাস্তবায়নে ৪৫ দিনের সময় নেয় নৌযান মালিকপক্ষ। তাদের আশ্বাসে ওইদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ত এ পর্যন্ত একটি দাবীও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। তাই গত ২০ জুলাই সভা করে ২৩ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অবিরাম শ্রমিক ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মো. শাহ আলম মঙ্গলবার রাতে জানান, গত ২০ জুলাই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হলেও এ পর্যন্ত শ্রম অধিদপ্তর ও নৌযান মালিক সংগঠন সমঝোতার কোন উদ্যেগ নেয়নি। যে কারনে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালনে অটল সিদ্ধান্তে আছেন। ফেডারেশভূক্ত লঞ্চ লেবার এসোশিয়েশনের বরিশাল জেলা সভাপতি হাশেম মাষ্টার জানান, তারা ধর্মঘট চলছে। শ্রমিকদের দাবীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বেতনভাতা বৃদ্ধি করে যুগোপযোগী করা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন, নৌযান শ্রমিকদের হামলার বিচার, নৌপথে চাঁদাবাজী বন্ধ, মেরীন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং মৃত নৌযান শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপুরন প্রদান। এ প্রসঙ্গে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুন্দরবন লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, শ্রমিকরা বাড়াবাড়ি করলে তারাও লঞ্চ চালাবে না। কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার তারা কঠোর অবস্থানে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *