নাগরিক রিপোর্ট:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়া হলে তাকে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি প্রমান হতে পারে এমন আশংকায় সরকার তাকে বিদেশ যেতে দিচ্ছেনা। শুক্রবার বরিশালে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ অভিযোগ করেছেন মীর্জা আব্বাস। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নগরের জেলা স্কুল মাঠে বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সমাবেশ চলে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা-উপজেলা এবং নগরের ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীর খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগদেন। সমাবেশ চলাকালে জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ জেলা স্কুল সংলগ¦ সড়কে অবস্থান করেন। এছাড়া বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে নগরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
সমাবশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ সভাপতি ব্যরিষ্টার শাহজাহান ওমর, যুগ্ন মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলসিক আক্তার জাহান শিরিন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক।
মীর্জা আব্বাস তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার পূর্বসূরীরা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। এখন খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চান। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে আপনার এত ভয় কিসের? আপনারা যদি এতই জনপ্রিয় হন তাহলে সাহস থাকলে ভোটে আসেন।
মীর্জা আব্বাস বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তার প্রথম মুক্তির দাবী জানিছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তখন আওয়ামলীগের একদল নেতা শেখ হাসিনার মুক্তির বিরোধীতা করেছিল। তার প্রতিদান হিসাবে বেগম জিয়া আজ সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না।
ব্যরিষ্টার শাহজাহান ওমর বলেন, ‘শেখ হাসিনার কাছে আমাদের কোন দাবী নাই। তিনি কানা, কানে শোনেনা, কানের চিকিৎসা করাতে প্রায়ই তাকে বিদেশ যেতে হয়’।শাহজাহান ওমর বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসাতেও আওয়ামীলীগ ষড়যন্ত্র খুজছে, অথচ ১৫ আগষ্ট ছিল তার দলের ভেতরের ষড়যন্ত্রের ফসল। তার দলের ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীতে ভরা।
যুগ্ন মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আরেকটি গণ আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য সবার আগে নিজেদের মধ্যে সমম্বয় ও ঐক্য গড়তে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম টিপু, নাজিম উদ্দিন আলম, মনির হোসেন, দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক মজিবর রহমান নান্টু, আবুল হোসেন, সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুল, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মীর জাহিদুল কবির, আলী হায়দার বাবুল, পটুয়াখালীর স্নেহাসু শেখর কুট্টি প্রমূখ।