ডা. মুরাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন- মীর্জা ফখরুল

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নব্বইয়ের আন্দোলন সফল হয়েছিলো তখনই, যখন গণতšেস্লর পক্ষের শক্তিগুলো এক হয়েছিলো। আজকেও ঠিক একইভাবে সমস্ল গণতাšিস্লক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে, দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদেরকে দ–র্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।

গতকাল সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে স্বৈরাচার পতন ও গণতšস্ল মুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিএনপি এই দিনকে স্বৈরাচার পতন ও গণতšস্ল মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের সঙ্গে গণতšেস্লর কোনো সম্পর্ক নাই। তারা গণতšস্ল বিরোধী সরকার, তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে বলে আজকে বিভিন্নভাবে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্য বিভ্রাšø করছে।

খালেদা জিয়াকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন সমস্ল দেশ, জাতি, মানুষ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার বলে দাবি করছে তখন এই সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। সরকার বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। আইনের কথা বলছেন। আইন বাঁধা নয়, বাঁধা হচ্ছে সরকার।

তথ্য প্রতিমšস্লীর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সোশাল মিডিয়াকে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যšø জঘন্য, নিকৃষ্ট কথা বার্তা বলছেন একজন ভুঁইফোড় ডাক্তার। সে নাকী একসময় ছাত্রদল করতো। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রচার সম্পাদক ছিলো। পরবর্তিকাল সে ছাত্র লীগে যোগ দিয়েছে করেছে। ওই প্রতিমšস্লী বলেছে, আমি যা কিছু করছি, প্রধানমšস্লীর নির্দেশেই করছি এবং তা তিনি সব কিছু জানেন। এখন প্রধানমšস্লীকে-এই কথা সত্য কি মিথ্যা জানাতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তথ্য প্রতিমšস্লীর বক্তব্যে আমরা তীব্রভাবে শুধু প্রতিবাদ নয়, আমাদের ঘৃণা প্রকাশ করছি, ধিক্কার জানাচ্ছি। এই পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয়তলায় যুব দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহিন দাঁড়িয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের দ্বিমত পোষন করে বলেন, মুরাদ ছাত্রদল করে নাই। এসময়ে মহাসচিবের সাথে বির্তকে জড়িয়ে পড়ে এই তরুন যুব দল নেতা।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের অধঃপতন যখন হয় এভাবেই হয়। ফুটপাত থেকে ধরে এনে মšস্লী বানিয়েছে। এখন নতুন একটা জুটছে। সে এখন বিএনপির বিরুদ্ধে, খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে যিনি মুমুর্ষ রোগী, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য কটুক্তি করছে, সেই নেত্রীর পরিবার সম্পর্কে, তারেক রহমানের পরিবার সম্পর্কে অশ্রাব্য কটুক্তি করছে। এগুলো সহ্য করা যায় না, এগুলো আমরা সহ্য করবো না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, সরকারকে বলতে চাই, এতো মারপ্যাঁচ না করে সোজাসুজি বলেন, খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেবেন কি দেবেন না। আমরা সাফ সাফ কথা জানতে চাই, এখনই জানতে চাই। আপনাদের এতো কথা শুনতে চাই না।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নব্বইযের সাবেক ছাত্র নেতার মধ্যে ড. আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্লাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন মনি, খন্দকার লুৎফুর রহমান, আসাদুর রহমান খান, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *