কাউখালী সংবাদদাতা ॥ রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা বিরামহীনভাবে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। এদিকে সাধারণ ভোটাদের মধ্যে বিরাজ করছে ভোটের আমেজ। আর ভোটযূদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জীবনবাজি রেখে খাওয়া-নাওয়া ছেড়ে গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়িয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও প্রার্থীদের দোষ-ত্রুটি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ। অনেক প্রার্থীই ইতোমধ্যে পূর্বে অপকৃতি ঢাকিয়ে রেখে ভোটারদের সামনে নিজকে হাজির করছেন সাধু-সন্ন্যাসী, সৎ, যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে। আবার অনেকেই ভোটকে সামনে রেখে সমাজসেবক দানবীর, উচ্চ শিক্ষিতসহ অসংখ্য গুণ তুলে ধরে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে। সরল সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় কোন প্রার্থী কার মন কেড়ে নিয়ে বসবেন ক্ষমতার চেয়ারে। গ্রাম-গঞ্জে হোটেল রেস্টুরেন্ট চায়ের দোকানে মোড়ে মোড়ে ভোটারদের তর্কে বিতর্কে বারবার প্রাধান্য পায় জাতীয় পার্টির(জেপি) প্রার্থী এলিজা সাঈদ। তবে অধিকাংশ ভোটার জরিপে অন্যান্য প্রার্থীদের একেবারেই বাদ দেয়ার মতো নয়। এই প্রথমবার কাউখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক নারী প্রার্থী । এলিজা সাঈদ কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাইদ মিঞা মনুর পত্মী।
২০১৬সালের নির্বাচনে আবু সাঈদ মনু সাইকেল প্রতীকে ভোট পান ৪ হাজার ২৬৩ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতিকে ভোট পান ৯’শত১২ ভোট। ইতোমধ্যেই অনেক প্রার্থী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করলে মুখ খোলেননি ভোটাররা, তবে দীর্ঘদিনের আত্মগ্লানি সমন্ধে অবহিত করছেন প্রার্থীদের। আবার কোনো কোনো ভোটার বলেছেন, ভোট যদি নাগরিক অধিকার হয় তাহলে কোনো একদল সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করছেন জাতীয় পার্টি জেপি’র এলিজা সাঈদ (বাইসাইকেল), নজরুল ইসলাম(চশমা), গিয়াস উদ্দিন পলাশ(আনারস), এইচ,এম,রেজাউল করীম খাকন(মোটর সাইকেল)।।
২০১৯-০৭-২৫