অভিযান- ১০ ট্রাজেডি, লঞ্চের মাষ্টার-ড্রাইভার কারাগারে

Spread the love
নাগরিক ডেস্ক : অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ-আদালতের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৬ নম্বর আসামি লঞ্চের ইনচার্জ ড্রাইভার মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও ৮ নং আসামি ২য় ড্রাইভার আবুল কালাম নৌ-আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করার আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। তিনি আসামিদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ইঞ্জিনরুমের সার্বিক দায়িত্ব ইঞ্জিন ড্রাইভারদের উপর বর্তায়।

তাঁরা কেবল দায়িত্বে অবহেলাই করেনি, অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর। ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তাঁরা যদি দায়িত্বশীলতার সাথে তদারকি করে সঠিকভাবে ইঞ্জিনরুম পরিচালনা করতো তাহলে হয়তো স্মরণকালের এই ভয়াবহ ট্রাজেডি ঠেকানো যেত। কিন্তু তাঁরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব তাঁরা যথাযথভাবে পালন করেননি।

আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আসামিরা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে তাদের অবহেলা ছিল না।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি লঞ্চের মালিক মো. হামজালাল শেখকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার পাঁয়তারা করছেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ করেন। তিনি ওসির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির অনুরোধ করেন।

আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে নৌ-আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। গত সপ্তাহে ওই লঞ্চের মাস্টারদ্বয় আত্মসমর্পণ করার পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *