বৃৃষ্টির পরেই আাসছে বাঘ কাপানো শীত

Spread the love

নাগরিক রিপোট : গতবছর প্রায় পুরো মৌসুম স্বাভাবিক শীতের জন্য অপেক্ষা করেছে দেশ। কিন্তু শীত এই আসে, এই যায়। বছরের শেষ দিকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও ঢাকায় শীতের তীব্রতা ছিল না। বরং নতুন বছরের শুরু থেকেই হালকা শীত, সঙ্গে গরমের আঁচড়। হিমেল বাতাসের দাপটকে ম্লান করে সকাল থেকে দুপুর সোনারোদের দখলেই থাকত।

শেষ পর্যন্ত পৌষের শেষে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে হিমেল হাওয়া বয়ে গেলেও কমেনি তাপমাত্রা। সারাদেশেই বেড়েছে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি থাকবে আর কয়েকদিন। মাঘের শুরুতেই স্বমহিমায় হাজির হবে শীত। মেঘ-বৃষ্টি বন্ধ হলে ১৫ জানুয়ারির পর আসবে শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত মাঘ মাসের বাঘ কাঁপানোর কথাকেই মনে করিয়ে দেবে। তবে এ মৌসুমে শৈত্যপ্রবাহের দেখা পাবে না রাজধানীবাসী।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় আছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বৃষ্টি ঝরিয়ে শীতের অনুভূতি বাড়ালেও কমেনি তাপমারা।

বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের অনেক স্থানে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও বৃষ্টি থাকবে। এরপর দেখা যাবে ঝলমলে রোদ। বৃষ্টির রেশ কেটে গেলে আবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দু-একটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *