এমাসের তৃতীয় ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির মাঝে শৈত্যপ্রবাহ

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : শীত জেঁকে বসার সুযোগই পাচ্ছে না। শীত বাড়লেই শুরু হয় মেঘের আনাগোনা। এতে উত্তরাঞ্চল দিয়ে আসা হিমেল বাতাস আটকে যাচ্ছে।

গত তিন দিনে তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ ৪-৫টি জেলায় ছড়িয়েছিল, এরই মধ্যে আবার উত্তরাঞ্চল দিয়ে মেঘের দল ঢুকতে শুরু করেছে। উত্তরের জনপদ দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ছাড়া দেশে আর কোথাও এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২৩-২৫ জানুয়ারি বৃষ্টির পর রোদের দেখা মিলবে। তখন মেঘ সরে যাওয়ার পর বাড়বে শীত। ওই সময় আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল  বলেন, আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে। এরপর ৩, ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি আবারও বৃষ্টি হতে পারে। এই দুই বৃষ্টির মধ্যবর্তী সময়ে আবারও শীত বাড়বে।

বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, বুধবার সারাদিন সূর্য দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে গেছে ১০-১২ গজের মধ্যে। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করছে। শীতের কারণে ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়েছে বেশি। এ ছাড়া আলু, টমেটো ও বোরো বীজতলায় মোড়ক দেখা দিয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এএসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এই অবস্থায় ফসলের ক্ষেতে ঘন ঘন বালইনাশক স্প্রে এবং বোরো ধানের বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।w

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *