চরমোনাই মাহফিলগামী ট্রলার ডুবি, নিহত-৩

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালে চরমোনাইর মাহফিলগামী মুসুল্লীবাহি ট্রলার ডুবিতে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও নিঁখোজ রয়েছেন আরও দুইজন। মাহফিল প্রাঙ্গন চরমোনাই মাদ্রাসা থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দুরে আড়িয়াল খাঁ নদে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ মর্মান্তিক ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। বরিশাল সদর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানাত জামান এ তথ্যে নিশ্চিত করেছেন। জেলেরা অভিযোগ করেছেন, লঞ্চের ধাক্কায় মধ্যরাতে ট্রলারটি ডুবে গেছে।

আগামী শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চরমোনাই দরবারে ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শুরু হবে। এ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় অর্ধশত মুসুল্লী মাহফিলে অংশগ্রহন করতে একটি ট্রলারে চরমোনাইতে আসার পথে নৌযানটি ডুবে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

বরিশাল নৌ ফায়ার ষ্টেশনে কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলেদের বরাত দিয়ে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আড়িয়াল খাঁ নদে ঢাকা থেকে আগৈলঝাড়ার পয়সারহাটগামী একটি যাত্রীবাহি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুসুল্লীবাহি ট্রলারটি ডুবে গেছে। জেলেরা লঞ্চটির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি।
নৌ ফায়ার ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বুধবার বেলা ২টায় জানান, তখন পর্যন্ত ৩টি মৃতদেহ তারা উদ্ধার করেছেন। সঙ্গী মুসুল্লীদের বক্তব্য অনুযায়ী আরও দুইজন নিঁখোজ রয়েছেন। তার সন্ধ্যানে ডুবুরীরা তল্লাসী চালাচ্ছেন।

উদ্ধার হওয়া ৩টি মৃতদেহের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- সিরাগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঢাবারীপাড়া গ্রামের আবুল কাশেসের ছেলে আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস (৭৫) ও একই গ্রামের মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহিদ (৩০)।

নৌ ফায়ার ষ্টেশন কর্মকর্তা জানান, প্রথমে আব্দুল কুদ্দুসের মৃতদেহ উদ্ধারের পর চরমোন্ইা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসে মৃতদেহটি সহ উদ্ধার হওয়া ৪০ মুসুল্লীকে মাহফিল প্রাঙ্গনে নিয়ে গেছেন। পরে আরো দুটি লাশ উদ্ধার হলেও সঙ্গীরা কেউ ঘটনাস্থলে না থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিরাগঞ্জ থেকে এক স্বজনের মুঠোফোনে দেয়া বর্ননা অনুযায়ী একটি মৃতদেহের নাম জাহিদ। জাহিদের শরীরে শুধু ওপরের অংশ পাওয়া গেছে। অপরজনের পরিচয় এ পর্যন্ত জানা যায়নি। এ দুটি মৃতদেহ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *