আয়ের সর্বোচ্চ খাত গৃহকর: বিসিসি’র ৫৪৮ কোটি টাকার বাজেট

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ গৃহকর ও মন্ত্রনালয়ের অনুদানের উপর নির্ভর করে বরিশাল সিটি করপোরেশন(বিসিসি) ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৪৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট দিয়েছে। যা গত অর্থবছর অপেক্ষা ১ কোটির মত বেশি। এবারের বাজেটে আয়ের বড় খাত দেখানো হয়েছে গৃহকর। উন্নয়ন খাতগুলোর বড় প্রকল্পের অধিকাংশই দেখানো হয়েছে মন্ত্রণালয় নির্ভর। গতকাল বুধবার বিকালে নগর ভবন সংলগ্ন ফজলুল হক এভিনিউ চত্বরে উম্মুক্ত পরিবেশে বাজেট উপস্থাপন করা হয়। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে বাজেট উপস্থাপন করেন ১ নম্বর প্যানেল মেয়র গাজী নাঈমুল ইসলাম লিটু। পরে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
গত বছর ২৪ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহনের পর বিসিসির প্রথম বাজেট পেশ করলেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। ফজলুল হক এভিনিউ চত্বরে বিশাল প্যান্ডেলে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সহ¯্রাধিক মানুষ বাজেট উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তার বক্তৃতায় বলেন, একটি বসবাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার জন্য তিনি ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। যেগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
গতকাল বাজেট অনুষ্ঠানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ১২৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদিত হয়। ওই অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৪৪৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৫ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটের এক তৃতীয়াংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে মোট আয় দেখানো হয়েছে ৫৪৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। সমপরিমান টাকা ব্যয় দেখানো হয়। আয়ের ক্ষেত্রে রাজস্ব খাতে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার প্রারম্ভিক স্থিতিসহ মোট আয় ১৩০ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ টাকা। সর্বোচ্চ আয় ধরা হয়েছে গৃহকর বাবদ। এ খাতে আয়ের লক্ষমাত্রা ৬০ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭২ টাকা। উন্নয়ন খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪১৬ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৪ টাকা। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তহবিল থেকে আয়ের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
উন্নয়ন খাতগুলোর বেশীরভাগই হচ্ছে মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনাল নির্মান, নতুন নগর ভবন নির্মান, বর্ধিত এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন সম্প্রসারন, নগরীতে ৪টি ভাসমান পানি শোধনাগার ও ৫টি ওভারহেড টাংক নির্মান, খাল পুনঃসংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ নির্মান ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *