উন্নয়ন প্রকল্পের বালুতে ভরাট হচ্ছে নগরের লাকুটিয়া খাল

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বরিশাল নগরের উত্তারাংশে লাকুটিয়া খালটি (মরকখোলার পুল থেকে উত্তরদিকে প্রবাহিত) প্রায় মৃত অবস্থায় আছে এক যুগেরও বেশী। খালের ভেতর নালার মতো পানির প্রবাহ খালটির অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান। পূর্ব তীরে বরিশাল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উন্নয়ন প্রকল্পে সেই অস্তিত্বটুকুও বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বিসিকের নিচু জমি ভরাটে ড্রেজার দিয়ে ফেলানো বালূ গড়িয়ে পড়েছে লাকুটিয়া খালে। এতে খালের তলদেশ ভরাট হয়ে চর সাদৃশ্য স্তুুপ জমেছে। ফলে পানি প্রবাহ আরও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ওই বালূ অপসারন করা না হলে আগামী বর্ষায় খালের পানি উপচে লোকায় প্লাবিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিসিকের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে লাকুটিয়া খাল। জানা গেছে, বিসিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন প্লট তৈরীতে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। সেখানে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিসিক শিল্প এলাকা থেকে সৃষ্ট একটি নালা এসে মিশেছে লাকুটিয়া খালের আবহাওয়া অফিসের বিপরীতে অংশে। ওই নালা দিয়ে ড্রেজারের পানি ও বৃষ্টির পানিতে বিসিকের বালু এসে খালে পড়েছে। এতে ওই স্থানটিতে নদীর চর পড়ার মতো দৃশ্যমান হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আবহাওয়া অফিসের বিপরীতে খালের অপর প্রান্তে হাওলাদার বাড়ি। বিসিক এলাকার মধ্যে থেকে সৃষ্ট নালাটি ওই বাড়ির পাশ ঘেষে খালের সঙ্গে মিশেছে। সেখান থেকেই বালু নেমে আসছে।

ওই এলাকাটি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলার সময় ওই নালা দিয়ে পানির ¯্রােত খালে নেমেছে। তখন পানির সঙ্গে বালুও পড়েছে। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র প্রভাবে বরিশাল রেকর্ড বৃষ্টিতে ওই নালা দিয়ে ¯্রােতের মতো বালু নেমেছে। ওই সময় হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন থাকা নামমাত্র খালটিতে বালুর চর জেগে উঠে।

হাওলাদার বাড়ির আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, একসময়ের খর¯্রােতা লাকুটিয়া খাল অনেক আগে মরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য জোয়ার-ভাটা হলেও শীত-মৌসুমে সেটাও থাকেনা। নালা দিয়ে দূর্গন্ধের পানি প্রবাহিত হয়। বিসিকের বালু অপসারন করা না হলে এই নালাটিও বন্ধ হয়ে যাবে।

বরিশাল বিসিকের উপ পরিচালক জালিস মাহমুদ বলেন, বিসিকে নতুন ১১০টি প্লট সৃষ্টির জন্য ৪০ একর নিচু জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তখন কর্তৃপক্ষের অগোচরে কিছু বালু খালে গিয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি তিনি খোজ খবর নিয়ে বালু অপসারনের ব্যবস্থা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *