বাউফলের পল্লীতেই স্থায়ী হবেন নববধু ইন্দোনেশিয়ান নিকি

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার অজপাড়া খেজুরবাড়িয়া গ্রামের প্রেমিককে বিয়ে করতে ইন্দোনেশিয়ান তরুনী নিকি উলফিয়াকে ৭ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। বুধবার রাতে তার প্রতিক্ষার অবসান হয়। প্রেমিক ইমরান হোসেনের বাড়িতে এসে ১০১ টাকা দেনমোহরে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন নিকি। তার আগে বুধবার সকালে পটুয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে নোটারী করে বিয়ের অনুমতি নেন। ফেসবুক পরিচয়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নবদম্পতির বিবাহত্তোর সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিদেশী বধু দেখে আনন্দ উল্লাস করেন গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।

বাউফলের দাসপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও বিথি আক্তার দম্পতির বড় ছেলে ইমরান হোসেন। পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে ¯œতকোত্তর শেষ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন। অপরদিকে ২৩ বছর বয়সী নিকি উলফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতো ও শ্রীআনি দম্পতির জেষ্ঠ্য সন্তান।

ইমরানের বাবা-মা জানান, নিকি ৫ বছর আগেও তাদের বাড়িতে এসেছিল। তখন তার বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে ইন্দোনেশিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। সোমবার বিমানে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে একাই আসেন নিকি। বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করেন ইমরান। ঢাকা থেকে লঞ্চে বুধবার সকালে পটুয়াখালীতে পৌছায় ইমরান-নিকি। আদালতে নোটারী শেষ করে বিকালে পৌছান বাউফলের খেজুরিয়া গ্রামে। রাতে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী স্থাণীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম দুজনের বিয়ে সম্পন্ন করেন।

ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে আমার ৭বছরের প্রেমের সম্পর্ক। দুজনে আদালতে উপস্থিত হয়ে আইন মেনে বিয়ের সম্মতি নিয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

নববধু নিকি উলফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারাজীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।

ইমরানের মা বিথী আকতার বলেন, অন্য একটি দেশের মেয়ে বৌ হয়ে আমাদের পরিবারে এসেছে। বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি নিকিকে মেয়ের মতোই দেখবো। আমরা ছোট পরিসরে নিকটআত্মীয়দের নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেছি।

দাসপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইন্দোনেশিয়ান তরুনী নিকি আমাদের গ্রামে বউ হয়ে থাকবে। তার সিদ্ধান্তে আমরা খুব খুশি। তাকে এখন নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। ##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *