সরেজমিন: শেষদিনে কোরবানীর পশুহাটে বাজিমাতের অপেক্ষা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ হাট ভর্তি গরু আর গরু। ক্রেতাও আছে বেশ। কিন্তু বেচাকেনা হচ্ছে না তেমন একটা। শনিবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষামান থেকে বরিশাল-ঝালকাঠীর সীমান্ত এলাকা সুগন্ধীয়ার পশুরহাটে এই চিত্র দেখা গেছে। ওই সময়ের মধ্যে ৫ থেকে ৭টি গরু বিক্রি হওয়ায় হাটের চিত্রছিল অনেকাংশেই নিরস। এর কারন হিসেবে জানা গেছে, গরু ছাগলের দাম ছাড়ছে না ব্যবসায়ীরা। কোরবানীর অধিকাংশ পশুরহাটে এমন চিত্র থাকায় হতাশা ফুটে উঠেছে ক্রেতার পাশাপাশি বিক্রেতাদের মাঝেও। তবে ঈদ উল আযহার ২দিন আগে ক্রেতা ও বিক্রেতার ভিড়ে বরিশালের ৬৫টি হাটের মধ্যে অধিকাংশই ছিল মুখরিত। আজ রোববার শেষ দিনে পশুর হাটে বাজিমাতের চেস্টায় ব্যস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সুগন্ধীয়ার পশুরহাটে কালো একটি মাঝারি আকারের পশুর দাম হাকা হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা। নগরীর ক্রেতা ব্যাংকার মাসুদ আহমেদ ৫৫ হাজার টাকা দর বললেও নড়চড় ছিল না বিক্রেতা হালিম মিয়ার। পাশের অপর একটি লাল গরুর দাম ৭৫ হাজার টাকা দর বলেন ল্যান্ড ব্যবসায়ী মনির হোসেন। কিন্তু বিক্রেতার সাফ কথা ৮৫ হাজার টাকার কমে ছাড়বেন না। এমন একাথিক বেচাকেনার দৃশ্য দেখার এক পর্যায়ে ঝুমঝুম বৃস্টি নামলে সুগন্ধীয়ার পশুরহাটে বিক্রেতাদের হতাশ হতে দেখা যায়।
ওই হাটে কোরবানীর গরু কিনতে আসা রশিদ মিয়া নামে ষাটার্ধো বৃদ্ধা বলেন, খাজনা মুক্ত হাট হওয়া সত্বেও দাম চড়া এখানে। পার্শবর্তী গুয়াচিত্তা হাটের তুলনায় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দর হাকছে ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত গরুর দাম বেশি। ক্রেতাদের ভাস্যমতে, শনিবার বিকেল না গড়ালে গরু ছাগলের দাম কমবে না। রোদ-বৃস্টিতে পুড়ে হয়তো পশুর দাম ছাড়বে ব্যবসায়ীরা।
এর আগে শনিবার সকালে বরিশাল নগরীর চৌমাথা ব্রিজের নিচে সিএন্ডবি সড়কে বসা হাটে দেখা গেছে গরু ছাগলের আমদানী তুলনামুলক বেশি। এ হাটে উত্তরাঞ্চলের পশুর সংখ্যাই বেশি। হুমায়ুন কবির নামে একজন শিক্ষক মাঝারি আকারের কালো-সাদা গরুর দাম ৪৫ হাজার টাকা দর বলেন। তবে বিক্রেতা দাম চান ৬৫ হাজার টাকা। পাশের একটি সাড় গরুর দাম ৯৫ হাজার টাকা দর উঠলেও সেখানে ক্রেতার সংখ্যা তেমন একটা দেখা যায়নি। নগরীর মধ্যে ফোর লেন দখল করে গড়ে ওঠা এ হাটে মুলত আসপাশের বিলাসী শ্রেনীর ক্রেতাকে দেখা গেছে। শনি ও রোববার চরমোনাই পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু, ছাগলের সংখ্যা কমে গেছে। ক্রেতারা কম দামে গরু কেনার আশায় ছুটছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালিয়া, রুপাতলী, বাঘিয়াসহ বিভিন্ন হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। ক্রেতার ভীড়ও বাড়ছে। আজ রোববার শেষ মুহুর্তে হাটের চিত্র কোন দিকে মোড় দেয় তা নিয়ে হিসেব কষছেন ক্রেতারা।
জানা গেছে, এবার নগরীসহ বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৬৫টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসছে। জেলার ১০ উপজেলায় এবারে মোট ৬০টি পশুর হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারমধ্যে ২৫ টি স্থায়ী ও ৩৫ টি অস্থায়ী হাট। আর নগরীতে হাট বসেছে ৫ টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *