নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: ছাদিকুল আরেফিন সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিচ্যুত রেজিস্ট্রার মো: মনিরুল ইসলামকে স্বপদে বহাল না করায় বিচারপতি বিশ্বমাধব চক্রবর্তী এবং বিচারপতি মো: আলী রেজার দ্বৈত বেঞ্চ গত ৯ আগস্ট এ আদেশ দিয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না এর জবাব ৪ সপ্তাহের মধ্যে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিচ্যুত রেজিস্ট্রারকে নতুন করে সাময়িক বরখাস্ত এবং শোকজের নোটিশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালতের একই বেঞ্চ|
রুল জারি করা অপর ২জন হচ্ছে ববির ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদার। এ আদেশের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার তথ্য গতকাল মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারী মনিরুল ইসলাম।
চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: সালাউদ্দিন দোলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ৮ ফেব্রয়ারী হাইকোর্টের এক আদেশে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দেয়া হয়। এ আদেশ কেন ববি উপাচার্য, ট্রেজারার এবং রেজিস্ট্রার লংঘন করছেন তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালতের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতিগন। তাছাড়া হাইকোর্টের আদেশ যে লংঘন করা হয়েছে এর দায়ে কেন উপাচার্য সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার জবাব ৪ সপ্তাহের মধ্যে চাওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন আরও বলেন, চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে স্বপদে বহালের উচ্চ আদালতের আদেশের পর গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পিছনের তারিখ দেখিয়ে তাকে যে সামিয়ক বরখাস্ত এবং শোকজ নোটিশ দিয়েছে তাও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
ববি উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিনকে এ বিষয়ে জানতে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়াকে ফোন দিলে তিনিও রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমামমুল হক নৈতিক শৃংখলনের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে চাকুরিচ্যুত করেন। এর বিরুদ্ধে ওই বছরই তিনি রিট দায়ের করেন। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্ট মনিরুলকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দেন ববি উপাচার্যকে।