নাগরিক ডেস্ক:
১৯৭২ সালের জুনে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত ৫৪ নদীর তালিকা চূড়ান্ত হয়েছিল। এর আগে ১৯৭২ সালের মার্চে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধীর যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে ‘ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন’ গঠিত হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন আরও ১৬টি আন্তঃসীমান্ত নদীর খোঁজ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওই নদীগুলোকে আন্তঃসীমান্ত নদী ঘোষণা করতে ভারতের কাছে তালিকা পাঠিয়েছিল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে ভারতের কাছ থেকে সাত বছরেও এ বিষয়ে সাড়া মেলেনি।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ১৬ নদী হলো– হাঁড়িভাঙ্গা, সংকোষ, কর্ণঝড়া, সোমেশ্বরী, মহারশি, উপদাখালী, মঙ্গলেশ্বর, মহাদেও, মহিষখোলা, রাঙ্গা বাগলি, কাশিমারা, চেলা, জালিয়াছড়া, লুবহা, লোহার ও কর্ণফুলী।
এ ব্যাপারে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) উপনির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, ১৯৭২ সালে আন্তঃসীমান্ত নদী ছিল ৫৭টি। আমরা রিভিউ করে দেখেছি কোনো নদী বাদ পড়ে গিয়েছিল কিনা। এখানে ১৬টিরও বেশি নদী পাওয়া গিয়েছিল।
আমার জানা মতে, এ তালিকা ভারতে পাঠানো হয়নি। এটি আমরা অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা করে রেখে দিয়েছি।
তবে যৌথ নদী কমিশন, বাংলাদেশের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ‘১৬ নদীর স্বীকৃতির জন্য ভারতে পাঠানো হলেও তারা গ্রহণ করেনি। তারা এই ১৬ নদীর সংজ্ঞা ঠিক করতে বলেছে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। আরও ৬৯টি নদীর বিষয়ে আমার জানা নেই।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি। আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা একেকজন একেক রকম বলছে। তবে এ সংখ্যা অফিসিয়াল স্বীকৃত হতে হবে। সীমান্তের ৫৮ উপজেলার এসিল্যান্ডদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব। সবকিছু যাচাই-বাছাই না করে আন্তঃসীমান্ত নদীর বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
এ ব্যাপারে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, নদীগুলোকে অভিন্ন নদীর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দুই দেশের যৌথ নদী কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।