কারামুক্ত হয়ে হরতালে বিএনপি আহবায়কের গাড়িতে শোডাউন

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
তফসিল প্রত্যাখান করে রোববার থেকে টানা দুই দিনের হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। সেই কর্মসুচীর মধ্যে বরিশাল নগরের সদর রোডে গাড়িতে চেপে শোডাউন দিয়েছেন সদ্য কারামুক্ত বরিশাল জেলা (দক্ষিন) বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। রোববারের এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিএনপি নেতা আবুল। অভিযোগ উঠেছে দলটির টানা কর্মসুচীতে দক্ষিন জেলা বিএনপি সহ নগর ঘেষা সদর উপজেলার শীর্ষ নেতারা মাঠে নামছেন না।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বিকেলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান জেলা (দক্ষিন) বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। এসময় সেখানে তার নেতাকর্মীরা ছিলেন। তারা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে একটি সাদা গাড়িতে শোডাউন দিয়ে নগরের সদর রোড থেকে গন্তব্যে যান তিনি।

হরতাল কর্মসুচী চলাকালীন ওই ঘটনায় বরিশাল বিএনপিতে সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করেন নেতাকর্মীরা। কবির খান নামে এক কর্মী বলেন, ‘নির্বাচনের নমিনেশন নিয়ে হাজির আবুল ভাই।’ নুরুল ইসলাম নামে অপর এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘চলমান হরতালের মধ্যে একজন নেতার এভাবে গাড়িতে করে শোডাউন দেয়া উচিৎ হয়নি।’

জানতে চাইলে বরিশাল জেলা (দক্ষিন) বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, তিনি ১ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে সিন্ডবি রোড থেকে গ্রেপ্তার হন। রোববার সন্ধ্যার আগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার ধারনা ছিল পুলিশ আবার তাকে গ্রেপ্তার করবে। সেকারনে গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করার চেস্টা করেন। কিন্তু কারাগারের প্রধান ফটকে অসংখ্য নেতাকর্মী জড়ো হন। মুক্ত হয়ে নিরাপদে যেতে গাড়িতে উঠেছেন। এসময় সকল নেতাকর্মীকে হাত তুলে হ্যালো করেছেন মাত্র। যারা সমালোচনা করেন তারা তো মাঠে নেই, তিনি মাঠে আছেন।

বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির ১ নং সদস্য কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, হরতালের সময় গাড়িতে শোডাউন দেয়া উচিৎ হয়নি। এটি দু:খজনক ঘটনা। এখন তো ফুলের মালা নেয়ারও সময় নেই। আবুল হোসেনের হেটেই যাওয়া উচিৎ ছিল। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সদর উপজেলা আহবায়ক এনায়েত হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলামও মাঠে নামছে না। যদিও এটি বিএনপির ঘাটি। তাদের বলা হয়েছে কিন্তু শুনছেন না।

দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, তিনি দেখেছেন আবুল ভাই জেল গেট থেকে বেড়িয়ে সাদা একটি গাড়িতে চড়েছেন। হরতালের মধ্যে এটা এক ধরনের ভুল হতে পারে। জেল গেটে কিছু কর্মী গেছে। তবে সেখানে শোডাউন কিংবা ফুল দিয়ে বরণ করা হয়নি। তিনি বলেন, সদর উপজেলা বিএনপির নেতাদের কার্যক্রম ধীরগতির। তাদের কাজ সন্তোষজনক নয়।

এব্যপারে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *