বেয়াইর সুবিধায় এলজিইডির অপরিকল্পিত সেতু নির্মান

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালের বানারীপাড়ায় খালের উপর একটি সেতু নির্মিত হচ্ছে মাত্র একটি বাড়ির লোকজনের সুবিধার্থে। যেখানে সেতুটি নির্মিত হয়েছে সেখান থেকে ৩০০ ফিট দুরে আরও একটি আরসিসি সেতু আছে। এলাকাবাসীর দাবী নতুন আয়রন সেতুটি ৩০০ ফিট দুরে নির্মিত হলে প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা সুবিধা ভোগ করতে পারতেন। কিন্তু এলজিইডির সাবেক এক প্রধান প্রকৌশলীর বেয়াই হওয়ায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যায় করে অপরিকল্পিত প্রকল্পে একটি বাড়ির জন্য আয়রন সেতুটি নির্মান হচ্ছে। ঘটনাটি উপজেলার বিশারকান্দী ইউনিয়নের মুড়ারবাড়ী গ্রামের খালের অপর প্রান্তে আলম মোল্লার বসতবাড়ি ঘিরে। এমন আত্নঘাতি সিদ্ধান্তে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বরিশাল-২ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহে আলম এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, সেতুটি গুরুত্বহীন জায়গায় নির্মানের সময় তিনি কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এটি এলজিইডির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুপারিশে এটি নির্মান হচ্ছে।

জানা গেছে, যেখানে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে তার ৩০০ ফিট দুরে একই খালে আরেকটি আরসিসি সেতু রয়েছে। নতুন সেতুটি ৩০০ ফিট দুরে নির্মিত হলে আরও ৫ হাজার মানুষের চলাচলে উপকৃত হতো।

তবে এলজিইডি আলম মোল্লার বাড়ির সামনে সেতু নির্মানে অনঢ় রয়েছে। দেড় বছর আগে সেতু নির্মানের কাজ শুরু হলে স্থানীয় এমপি শাহে আলম কাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে এমপি জাতীয় নির্বাচনে ব্যস্ততায় থাকার সুযোগে পূনরায় সেতু নির্মান শুরু করেছে এলজিইডি।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সেতুটি যেখানে নির্মিত হচ্ছে এতে মোল্লা বাাড়ির ৪-৫ জন লোক ছাড়া অন্য কারো ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। মুলত আলম মোল্লার নিজেস্ব মুরগীর খামারে যানবহন যাতায়াতের সুবির্ধাতে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে আলম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. মহসিন তার বেয়াই। তার মেয়াদকালীন সময়ে সেতুটির অনুমোদন হয়েছে। স্থানীয়রা তখন আপত্তি করায় সেতুটি নির্মিত হয়নি। তবে এখন সেতু স্থাপনের কাজ চলছে।

বিশারকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, শুধুমাত্র আলম মোল্লার বাড়ির জন্য এলজিইডি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প তৈরি করে একটি সেতু নির্মান করছে। ওই বাড়ির লোকজনের যাতায়াতে ভেতর থেকে ৩০০ ফুট দুরে আরসিসি সেতু পারাপারের সুযোগ রয়েছে।

তবে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ন কবীর বলেন, খালের অপর পাড়ে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তাদের যাতায়াতের জন্য সেতু নির্মিত হচ্ছে। এলজিইডির কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীর বাড়ি হওয়ায় সেতুটি করা হচ্ছে কি না এমন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, তা তার জানা নেই। স্থানীয় এমপি বাধা দিয়েছেন কিনা তাও জানেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *