নাগরিক রিপোর্ট:
দ্বীপ জেলা ভোলা-ঢাকা রুটের মেঘনা নদীর চাদপুরের হাইমচরে মধ্যরাতে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে মোঃ সোহেল (২৮) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩জন। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ঘনকুয়াশার কারনে সুরভী-৮ এবং টিপু ১৪ লঞ্চের মধ্যে সংঘষে এ মমান্তিক দুঘটনা ঘটেছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর ভোলা বন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় চাদপুরের হাইমচরে সুরভী ৮ এবং টিপু ১৪ লঞ্চের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় এক যাত্রী নিহত হয়েছে। সংঘষে কয়েক যাত্রী সহ সুরভী লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘন কুয়াশায় দুই লঞ্চের মুখোমুখী সংঘষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। বন্দর কমকতা শহিদুল আরও বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকার পথে সুরভী ৮ লঞ্চ রওনা দেয়।
অপরদিকে ঢাকা থেকে চরফ্যাশনের বেতুয়া টিপু ১৪ লঞ্চ আসছিল। পথিমধ্যে চাদপুরের মেঘনা নদীর হাইমচরে মধ্যরাতে দুটি লঞ্চ সংঘষে লিপ্ত হয়। এতে একজন নিহত হয়েছে। সুরভী লঞ্চ এর ডান পাশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টিপু লঞ্চটি ইলিশায় ফিরে আসে। আর সুরভী লঞ্চ ঢাকায় পৌছেছে। নিহত মোঃ সোহেল ভোলা পৌর শহরের ৪ নং ওয়াডের বাসিন্দা বলে জানান তিনি।
টিপু লঞ্চের যাত্রী জামাল হোসেন জানান, মেঘনা নদীর হাইমচর নামক স্থানে পৌছালে হঠাৎ সংঘষে লঞ্চ কেপে ওঠে। দুই লঞ্চের পাশে এই সংঘর্ষ হয়। এতে সুরভী-৮ লঞ্চটির ডান অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়েন।
সুরভী-৮ লঞ্চের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে সুরভী-৮ লঞ্চের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর চাদপুরের বন্দর কমকতা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে যা করার প্রধান কাযালয় ব্যাবস্থা নিবেন। তাদের কিছু করার নেই। কারন দুঘটনা তার এলাকায় হলেও লঞ্চ তো তার এলাকায় নেই। একই কথা জানিয়েছেন, ভোলা বন্দর কমকতা শহিদুল।