ববি’র তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

Spread the love

নাগিরক রিপোর্ট:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় নাম্বার টেম্পারিং, খাতা পূণর্মূল্যয়নে অনিহা, মানসিক নির্যাতন ও অপদস্ত করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম এমন অভিযোগ তুলে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ওই শিক্ষকরা এধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিং এর অভিযোগ ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড: মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়া অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ববি’র বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম বলন, তিনি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বাগেরহাট থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আসেন। কিন্তু শুরু থেকে তার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রয়, সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার এবং সহকারী অধ্যাপক পম্পা রানী মজুমদার তাকে নানাভাবে হেনস্থা করে আসছেন।

৩য় বর্ষে তাকে একটি বিষয়ে ফেল করানো হয় এবং ৩টিতে অভ্যন্তরীন নাম্বার কম দেয়া হয়। তিনি এ অবস্থায় বিভাগীয় প্রধান উন্মেস রয়ের কাছে খাতা পুনর্মূল্যয়নের দাবী তুললে তাতে রাজি হননি। এর আগেও তার বিভাগের সিনিয়রর ভাই লুৎফুর রহমান নাম্বার টেম্পারিং এর অভিযোগে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

শিক্ষার্থী মিনহাজুল দাবী করেন, তিনি রোববার বিকেলে উপাচার্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে এবং সোমবার রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর যথাযথ বিচারও দাবী করে মিনহাজ বলেন, ওই ৩ শিক্ষকের সিন্ডিকেট তাকে সহ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্তা করে আসছেন। তারা কিছু শিক্ষার্থীকে টার্গেট করে প্রতিবারই হয়রানী করেন।

মুলত উন্মেষ স্যার এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রন করেন। তবে সঞ্জয় স্যার চুপ থেকে নাম্বার কমিয়ে দেন। আর পম্পা ম্যাডাম ওই ২ শিক্ষককে সমর্থন করে শিক্ষার্থীদের ম্যানেজ করতে বাসায় নিয়ে আপ্পায়ন করান। শিক্ষার্থী মিনহাজ আরও বলেন, তাকে সোমবার পরীক্ষার হলে পম্পা ম্যাডাম চাপ প্রয়োগ করে কেন অভিযোগ দিয়েছি তা জানতে চান।

ববির বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রয় বলেন, ‘অভিযোগের বিষয় আমি কিছু বলতে পারি না। শিক্ষক হিসেবে সকলকে সমান ভাবে দেখি। পুন: নিরিক্ষনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।’

তবে সহকারী অধ্যাপক পম্পা রানী মজুমদার এবং সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি খোজ নিয়ে জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *