নাগরিক রিপোর্ট:
নির্বাচনী ডামাঢোলের মধ্যেই বরিশালের ৫টি আসনে নতুন হিসেব নিকেশ শুরু হয়েছে। মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ এ সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও মেঘনা ঘেরা বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রাথী ড. শাম্মি আহমেদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে তাদের অনুসারীদের মাঝে। ভোটের আগেই এমন ঢেউ ওঠায় বরিশালে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় বইছে।
বেলা গড়াতেই বরিশাল-৫ আসনে সাদিকের মনোনয়ন বাতিল হওয়া নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝড় ওঠে। তাতে সরব ছিল প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুসারীরা। ২৩ নং ওয়াড যুবলীগ নেতা শামিম আহমেদ বলেন, আলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাতমীদের উচিত হবে এখন নৌকার প্রাথী জাহিদ ফারুকের নিবাচনী কাযক্রমে ঝাপিয়ে পড়া। নৌকা ছাড়া আর উপায় নেই।
মহানগর আ’লীগের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, নিবাচন কমিশনে তারা সুবিচার পাননি। যেকারনে উচ্চ আদালতে গিয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন। রোববার তারা আদালতে আপিল ফাইল করবেন। আমরা সুবিচার পাইনি। আলীগ নেতা আনোয়ার বলেন, অনেক নেতাকমী না বুঝে হতাশ হন। যেকারনে শুক্রবার সকালেই সাদিকের কালিবাড়ি রোডস্থ বাসভবনে গিয়ে সাদিক পত্নি লিপি আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে নেতাকমীদের বলেছেন যে, হতাশার কিছুই নেই। উচ্চ আদালতে সাদিক মনোনয়ন ফিরে পাবেন। বর্তমানে গঠিত নিবাচনী কমিটিগুলো কাজ করে যাবে।
তবে এমপি জাহিদ ফারুক অনুসারী বরিশাল নগর আ’লীগের সহ সভাপতি অ্যাডঃ আফজালুল করিম বলেন, জাহিদ ফারুক যে আপলি করেছিলেন তা মঞ্জুর করে সাদিকের প্রাথীতা বাতিল ঘোষনা করেছেন। সাদিক আব্দুল্লাহ আমেরিকার নাগরিক এবং তার স্ত্রীর সেখানে বাড়ি আছে। দলে গ্রহনযোগ্যতা নেই বলেই সাদিককে প্রথমে মেয়র এবং পরে এমপি পদেও নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
এদিকে মেঘনা ঘেরা বরিশাল- ৪(হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রাথী ড. শাম্মী আহমেদেরও মনোনয়ন বাতিল হওয়য় সেখানে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ড. শাম্মীর অনুসারীরা অনেকটা চুপসে গেছে। তবে সরব পংকজ অনুসারীরা।এ প্রসঙ্গে ড. শাম্মীর ঘনিষ্ঠজন আলীগের আন্তজাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ মনির বলেন, তারা সবোচ্চ আদালতে যাবেন মনোনয়ন ফিরে পেতে।