মহাসড়কের উপর পার্ক অপসারনের প্রস্তাব বিসিসিতে

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৫ম পরিষদের প্রথম সভায়ও যাননি সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী ৯জন কাউন্সিলর। তারা গত ১৪ জুনের অভিষেকেও অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় ৪০জন কাউন্সিলরের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩১জন। কাউন্সিলররা দাবী করেছেন মেয়র সাদিকের গত ৫ বছরে ৬০টি সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ২০টি।

সভায় কাউন্সিলররা জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাঘাট সংস্কার, অবৈধ যানবাহন, পার্কিং রোধসহ মহাসড়কে অবৈধ পার্ক স্থানান্তরের প্রস্তাব উঠেছে। নগরকে মধ্যম শহর, শহর, বর্ধিত এলাকা ভিত্তিক কর আদায় করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বুধবর নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। সভায় মেয়র বলেছেন, যারা হাজিরা দিয়ে চলে যাবে সেই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিসিসিতে ঠাঁই হবে না।

গতকাল বুধবার পরিষদের প্রথম অংশ না নেয়া সাদিক সমর্থক ৯জন কাউন্সিলর হলেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম খোকন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ মান্না, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেফায়েত হোসেন রণি, ২ নম্বর ওয়ার্ড মুন্না হাওলাদার, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইমরান মোল্লা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আলম তাজ, সালমা আক্তার শিলা ও কাউন্সিলর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবর রহমান।
সভাসুত্রে জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী বিগত পরিষদের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গত ৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বিদায়ী সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন পরিষদ এরপরের ৮ মাসে কোন সভা করেননি।

৫ বছরে তার পরিষদের মোট সভা হয়েছে ২০টি। নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসে সভা অনুষ্ঠিত হলে ৫ বছরে ৬০টি সভা হওয়ার কথা।

প্রথম সভায় উপস্থিত নগরের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, প্রথম সভায় নগরের ড্রেনজ, রাস্তাঘাট, পাবলিক টয়লেট, অবৈধ যানবাহন, পার্কিং রোধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যম শহর, শহর, বর্ধিত এলাকা চিহিৃত করে গৃহকর আদায়ের আহবান জানানো হয়েছে। মেয়র এসব কিছু ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।

২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, তারা দায়িত্ব গ্রহনের আগে যে জট সৃস্টি হয়েছে তা সরানোর তাগিদ দিয়েছেন। এজন্য জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাঘাট মেরামত এবং ড্রেনেজ পরিস্কারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মেয়র খোকন ভাসমান দোকানপাট রোধে হকার্স মার্কেট করার চিন্তা করছেন। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, যারা হাজিরা দিয়ে চলে যায় তাদের নগরভবনে স্থান হবে না। এসময় কোন কোন কাউন্সিলর বলেন, একটি চলন্ত ট্রেন ৫ বছর বন্ধ ছিল। সেই ট্রেনকে সচল করতে হবে। নগরের যানজট দুরীকরন সহ মহাসড়ক দখল করে সিটি করপোরেশন যে পার্ক গড়ে তুলেছে তা অপসরনেরও দাবী জানিয়েছেন কোন কোন কাউন্সিলর।

সাবেক মেয়র সাদিকের অনুসারী সাবেক প্যানেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, তিনি সভায় যাননি। না যাওয়ার কারন হিসেবে তিনি বলেন, অনেকে ঢাকায় আছেন। তার শরীরটাও ভাল না। অন্যরা কেন যাননি তা তিনি জানেন না। বিগত ৫ বছরে কেন মাত্র ২০টি সভা করা হলো এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন লিটুকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *