নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুরে সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ রোপন করেছিলেন ১৩৩জন উপকারভোগী। ২০১৮ সালে সেই গাছ কেটে বন বিভাগ প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করে। কিন্তু ৬ বছরেও উপকারভোগীদের লভ্যাংশ পরিশোধ করেননি সামাজিক বন বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড: মোহা: আব্দুল আউয়াল। এর প্রতিবাদে রোববার বনবিভাগের সামনে মানববন্ধন করেছে অর্ধশত ভুক্তভোগীরা।
গৌরনদীর খাঞ্জাপুরের উপকারভোগী সমিতির সাধারন সম্পাদক শাজাহান মিয়া বলেন, পল্লি উন্নয়ন প্রচেস্টায় বনবিভাগের সহযোগিতায় তারা খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের চালিতা বাড়ি খাল থেকে ব্যাবাইজ্জার ঘাট পর্যন্ত সামাজিক বনানয়নের আওতায় গাছ লাগান। এক্ষেত্রে বন বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয় যে ওই গাছের লভ্যাংশের ১০ ভাগ বন বিভাগ, ২০ ভাগ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৭০ উপকারভোগীরা পাবেন। ২০১৮ সালে বনবিভাগ সাড়ে ১১ লাখ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করে।
ওই সময়ে উপজেলা বন বন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে ১৩৩জন উপকারভোগী গাছের লভ্যাংশ চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু বরিশাল বিভাগীয় বন বিভাগে ধর্না দিলেও ৬ বছরেও ওই টাকা পরিশোধ করেনি বনবিভাগ। বরং বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল তাদের কাছে গাছের অর্ধেক ভাগ চেয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন উপকারভোগী আসাদুজ্জামান বাদল, মো: হাবিবুর রহমান, খলিলুর রহমান, লাল মিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো: বাচ্চু বলেন, স্ব মিল এর লাইসেন্স করতে আসলেও বন বিভাগ ঘুষ চায়। বন বিভাগ কর্তৃক গাড়ির তেল চুরি, বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ তুলেন তিনি।
সামাজিক বন বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড: মোহা: আব্দুল আউয়ালকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে বরিশালের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ খান বলেন, উপকারভোগীরা আমাকে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। বন বিভাগে মানববন্ধনের বিষয় তিনি কিছু জানেন না।