এম হাসান ॥ বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে পেশা ভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আধুনিক সভ্যতা বিনির্মানের পেছনে প্রকৌশল শিক্ষার অবদান অনেক। এক সময় বরিশালকে বলা হত শিক্ষার নগরী। বর্তমান সময়ে এ অঞ্চলে শিক্ষায় আবার পুর্নজাগরণ ঘটেছে। ইতোমধ্যেই শিক্ষা বিস্তারে যতগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তার মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ (ইউজিভি) অন্যতম।
দক্ষিণবঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা বিস্তারে ইউজিভি দেশের প্রথম সম্পূর্ণ হাইটেক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। সিভিল, ইইই, সিএসই এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বিবিএ ও ইংরেজীতে আন্ডারগ্রাজুয়েট এবং এমবিএতে পোষ্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক মানদন্ড অর্জনে সক্ষমতা অর্জন করেছে যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশুনা করছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ল্যাবে রয়েছে গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ। এছাড়া এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলার এ্যাক্টিভিটিসে রাখছে সাফল্যের স্বাক্ষর। বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বিপুল সংক্ষক বইয়ের ডিজিটাল লাইব্রেরি। ইউজিভি জব কর্ণারের মাধ্যমে আগামী দিনের উদ্দোক্তা তৈরি এবং চাকরির বাজারে নিজেকে যোগ্য কওে গড়ে উঠার জন্য দেয়া হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং আয়োজন করা হয় জব ফেয়ার। এখানকার শিক্ষার্থীরা উপভোগ করে ফ্রি বাস ও ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস।
এককথায় বলা যায় জ্ঞান ও গবেষণা নির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের সম্পদে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বমানের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা উপভোগ করছে অত্র অঞ্চলের জ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীরা।
২০১৯-০৮-২২