বাউফলে জমিজমা বিরোধে একই পরিবারের আহত-১০

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একই পরিবারের ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আনা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজানুর রহমান (২৮) ও তাঁর ভাই মো. মনির হোসেন (২৬), মো. মিরাজ হোসেন (২০), বোন লাভলী বেগম (৩০) ও লিমা আক্তার (১৭), মা জয়নব বেগম (৫২), খালা ফজিলা বেগম (৫০), ফুফাতো ভাই আলআমিন (১৭) ও মো. হাসান (১৯), আবদুল খালেক হাওলাদার (৫৫)। তাঁদের মধ্যে মিজানুর, মনির ও মিরাজ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং অন্যরা বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহত ব্যক্তিরা এবং ঘটনার প্রতক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, বিলবিলাস গ্রামের মো. মোসলেম হাওলাদারের সঙ্গে একই গ্রামের মো. জয়নাল হাওলাদারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে দীর্ঘবছর। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে মোসলেম হাওলাদারের ভাগ্নে মো. হাসান মোটরসাইকেলে তাঁর (মোসলেম) বাড়িতে ঢুকছিলেন। এসময় জয়নাল হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেলের (২৭) নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, রামদা ও কুড়াল নিয়ে হাসানের পথরোধ করে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে মোসলেমের পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আখতারউজ্জামান বলেন,‘আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মিজানুর, মনির ও মিরাজের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপের দাগ রয়েছে। তাছাড়া তাঁদের অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল-শেবাচিমতে পাঠানো হয়েছে তাদের’।
এ বিষয়ে জানার জন্য জয়নাল হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন বলেন, ঘটনার পর তাঁরা আত্মগোপন করেছে।
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *