সৈয়দ জুয়েল, আয়ারল্যান্ড থেকে ॥ দীর্ঘ আট বছর পর অল বাংলাদেশী এসোসিয়েশন অব আয়ারল্যান্ড(আবাই) এর নতুন নেতৃত্ব গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বুধবার দুপুরে লিমরিকের কোর্ট হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আবাই এর নতুন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুরু থেকেই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ, উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। সম্মেলনের এক পর্যায়ে মেয়াদউত্তীর্ন কমিটির সভাপতি জিন্নুরাইন জায়গীরদার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন। এসময় মতামত ছাড়াই নির্বাচন উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের নাম ঘোষনা করলে হট্টোগোল বাধে। এ অবস্থায় সম্মেলনে আগতদের চাপের মুখে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আবাই’র উপদেস্টা পরিষদ ও পরিচালনা পরিষদ গঠন:
সম্মেলনের এক পর্যায়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে আয়ারল্যান্ড এর যতগুলি কাউন্টি থেকে লোকজন এসেছেন তারা নির্বাচন উপদেস্টা পরিষদ ও নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের নাম তাদের কাউন্টি থেকে প্রদান করেন। একপর্যায়ে সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আজাদ তালুকদার ও প্রধান উপদেস্টা হিসেবে মোহাম্মদ মোস্তফার নাম ঘোষনা করে ৩৪ জনের উপদেস্টা পরিষদ ও ২২ জনের নির্বাচনের পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়। ফলে স্বতস্ফূর্ত ভাবে এ প্রস্তাব মেনে নিয়ে বিদায়ী সভাপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সম্মেলনে আগতরা।
বিদায়ী সভাপতির বক্তব্য: সভার শুরুতে আবাই এর সভাপতি জিন্নুরাইন জায়গীরদার বলেন, ২০১১ সালের অক্টোবরে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আমাদের চেস্টার কমতি ছিলনা ভাল কিছু করার। হয়তো আমরা সেভাবে পারিনি। তাই ব্যার্থতার দায়ভার পুরোটাই আমাদের। তিনি এ কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা করে পরবর্র্তী নির্বাচনের একটা রুপরেখা দেন। যার মধ্যে রয়েছে- কাউন্টি ভিত্তিক ১০০ জনে একজন প্রতিনিধি, ওয়েবসাইট তৈরী করে তার মাধ্যমে ভোট গ্রহন।
সম্মেলনের লক্ষ্য:
আবাই এর নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ, নির্বাচন পদ্ধতি, ভোটার তালিকা প্রনয়নের পদ্ধতি, নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণই ছিল সম্মেলনের প্রধান টার্গেট। আবাই এর সদস্যগন এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। নির্বাচন উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ গঠন নিয়ে অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
উদ্বেগ শেষে প্রানবন্ত:
এদিকে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই অল বাংলাদেশী এসোসিয়েশন অব আয়ারল্যান্ড(আবাই) এর সম্মেলন সম্পন্ন হওয়ায় আগতদের মধ্যে উৎফুল্লভাব দেখা গেছে। দীর্ঘ আট বছর পর আবাই এর সম্মেলন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সাধারন মানুষের ভিতর আগ্রহ ও উৎকন্ঠা ছিল সমান তালে। সম্মেলনে আগতরা জানান, আবাই এর কমিটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। কিন্তু নানান জটিলতায় কালক্ষেপন হতে হতে আরো ছয়টি বছর কেটে যায়। যেকারনে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। সম্মেলনের এক পর্যায়ে হট্টগোলও ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য সম্মেলন প্রানবন্তভাবে সম্পন্ন হয়।
যারা ছিলেন: এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে কোরআন তেলওয়াত করেন সামসুল হক। পরে জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আজাদ তালুকদার, জাহিদ মোমিন চৌধুরী, জাকির বুলবুল, ইকবাল মাহমুদ, কামাল উদ্দিন, রফিক খাঁন, আব্দুল জলিল, রিপন দেওয়ান, আব্দুর রহমান, আফজাল হোসেন, জামাল বসির, কাজী কবির, বদরুল ইসলাম, কবির হোসেন, কাজী শাহ আলম, জাকারিয়া প্রধান, শাহাদত হোসেন, জসিম দেওয়ান। আরিফ টুকু, জহিরুল আলম মুখ। এছাড়া গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে কামাল উদ্দিন ( আই ওয়ান টিভি), জাহিদ মোমিন চৌধুরী ( এন,টি,ভি), এ,কে,আজাদ (এ,টি,এন বাংলা ), সৈয়দ জুয়েল (ডেইলি নাগরিক ) উপস্থিত ছিলেন।