গলাচিপায় লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর গলাচিপাগামী লঞ্চ থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর (১৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে গলাচিপা লঞ্চঘাটে এমভি বাগেরহাট-২ এর দ্বিতলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। যাত্রী ও লঞ্চের স্টাফদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, খাবারে বিষক্রিয়াজনিত কারনে ওই তরুনীর মৃত্যু হতে পারে। অজ্ঞাত তরুনীর সাথে থাকা এক যুবক আগেভাগই লাপাত্তা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ রোববার বিকেল ৫টায় গলাচিপা থানার ওসি বলেছেন, নিহত তরুনীর পরিচয় এখনও মিলেনি।
ঢাকার সদর ঘাট থেকে শনিবার পটুয়াখালী-গলাচিপাগামী ডাবল ডেকার লঞ্চে ওঠে অজ্ঞাত ওই তরুণী। তার সাথে এক যুবক ছিল বলে জানা গেছে। রাতে লঞ্চে তরুণী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে যাত্রী ও স্টাফরা তার সেবা করেন। তবে গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। লঞ্চের যাত্রীদের তথ্য মতে, নিহত মেয়েটির সাথে একটি ছেলে ছিল। তারা সদরঘাট থেকে একসাথে লঞ্চের দোতালায় ডেকে ওঠে। তার সাথে থাকা ছেলেটি পথিমধ্যে রাত ৯টার দিকে ঢাকা সদরঘাটের পরে ফতুল্লা লঞ্চ ঘাটে নেমে যায়। লঞ্চের স্টাফদের তথ্যমতে, নিহতের কাছ থেকে একটি রুমাল পাওয়া গেছে, যাতে লেখা আছে লামিয়া+আলামীন।
বাগেরহাট-২ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. লতিফ হোসেন ও আনছার সদস্য মো. আবুল হোসেন জানায়, মেয়েটিকে বাঁচাতে যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে। পরে রাত ২টার দিকে মেয়েটি মারা যায়। তার সাথে থাকা যুবক আগেই পালিয়েছে।
এব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি আকতার মোর্শেদ বলেন, শনিবার ঢাকার সদর ঘাট থেকে গলাচিপাগামী এমভি বাগেরহাট-২ লঞ্চে উঠেন ওই তরুনী। এসময় তার সাথে এক যুবকও ছিল। ডেকের পাশের যাত্রীরা উভয়কে ঝালমুড়ি খেতে দেখেন। লঞ্চটি ফতুল্লা ঘাটে পৌছলে যুবকটি নেমে যায়। এর কিছুক্ষন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের যাত্রীরা লঞ্চ স্টাফদের জানায়। সবাই মেয়েটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করলেও রাত দুইটায় তার মৃত্যু হয়। খাবারে বিষক্রিয়ার কারনে তার মুত্যৃ হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পরে পুলিশ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় প্রাথমিক ভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *