আয়ারল্যান্ড থেকে সৈয়দ জুয়েল ॥ পুরো নাম ফ্লোরা ফারজানা আফরোজ। সেই দু বছর বয়সে মামার হাত ধরে আয়ারল্যান্ডে আসেন। বেড়ে ওঠেন মেয়োর ক্যাসলবারে। স্কুল জীবন থেকেই প্রতিটি শ্রেনীতে শীর্ষে থেকে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ধীরে ধীরে তার সুনাম ছড়িয়ে পরে পুরো আয়ারল্যান্ডে। সেন্ট জোসেফ সেকেন্ডারী স্কুল থেকে জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে প্রথম সফলতায় স্কুলের সেরা ছাত্রীর পুরস্কার। এরপর লিভিং সার্টিফিকেট পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে আবারও শীর্ষে। ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল ফ্লোরার। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতেই সরকারী স্কলারশীপে এখন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ গলওয়ে( NUiG) চিকিৎসক বিষয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রী হিসেবে অধ্যয়নরত। তার স্বপ্ন মেডিসিনের উপর উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সেরা চিকিৎসক হতে, বাংলাদেশের নাম উজ্বল করতে।
এ বিষয় তার মামা আয়ারল্যান্ডের বিশিস্ট সমাজসেবক, আই,ওয়ান টি,ভি,র আয়ারল্যান্ড প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিল। আমার স্বপ্ন ছিল একদিন ও যেন চিকিৎসক হয়ে আয়ারল্যান্ড তথা বাংলাদেশের নাম উজ্বল করতে পারে। আমার সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। ইতোমধ্যে সংশ্লিস্ট বিশ^বিদ্যালয় থেকে ফ্লোরার নামে দুটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। অনেক বাঙ্গালী পরিবারের অভিবাকরা ফ্লোরার এ এগিয়ে যাওয়াকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন। তার সাফল্য যেন পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে বাংলাদেশের নামকে আরো উজ্বল করতে পারে, এটা আমাদের আশা। সেলিম ও মাকসুদা হলো তার গর্বিত বাবা, মা। দু ছেলে আর এক মেয়ে। ফ্লোরাই হলো তাদের একমাত্র কন্যা।