নাগরিক রিপোর্ট ॥ ‘সাঈদ’ টগবগে এক যুবক। হঠাৎ তার জীবন প্রদীপ নিভে গেল। অসময়ে তার যাওয়া মানতে পাড়ছে না এই নগরীর যুব সমাজ থেকে শুরু করে তার স্বজন, বন্ধুসহ শুভাকাংখীরা। আর তাই সাঈদ কে হারানোর বেদনায় দিনভর কান্না শোনা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ইন্তেকাল কাল করেন নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের নুরিয়া স্কুল সংলগ্ন বাসিন্দা আবদুল বাসেদ মিয়ার পুত্র মুরাদুল ইসলাম সাঈদ (ইন্না….রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। তিনি পিতা-মাতা, এক ভাই, দুই বোন, স্ত্রী, ২ মেয়ে এবং এক ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার দুপুর ২টায় সাঈদ তার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
জানা গেছে, সাঈদ মহানগর যুবলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। দলের জন্য অকৃত্রীম দরদে তার জন্য কাদছে নেতাকর্মীরা। প্রিয় মুখ সাঈদ এর জন্য বন্ধুদের কস্টও ফুটে উঠছে পড়তে পড়তে। আর সাঈদ এর ফুট ফুটে ৩ সন্তান! ওদের জন্য অসীম ভালবাসা কিভাবে পুরন হবে- এর জবাব কারো কাছেই পাওয়া যায়নি। কেবল ঝরছে পরিবারে অঝরে কান্না ।
সাঈদ এর অকাল মৃত্যুতে সর্বস্তরে শোক ছড়িয়ে পড়েছে। সাঈদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ। শনিবার সকাল ৯ টায় নগরীর নুরিয়া স্কুল মাঠে সাঈদের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকায় তার পরিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
২০১৯-০৯-১৪