নাগরিক রিপোর্ট ॥ ব্যাটারিচালিত রিক্সা বরিশাল নগরীর সড়কপথে চলাচল করতে দেয়ার দাবীতে রিক্সা শ্রমিকরা আমরন অনশন শুরু করেছেন। নগরীর প্রাণকেন্দ্র অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বুধবার সকাল থেকে এ অনশন শুরু হয়। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অর্ধশত রিক্সা শ্রমিক আমরন অনশনে অংশ নিয়েছেন। তিনি ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা। অনশনচলাকালে প্রতিবাদ সভায় বক্তরা এ অবস্থার জন্য সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে দোষারোপ করেন।
জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন জানান, তাদের দাবী মেনে না নেয়ার পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে। বুধবার সকালে অনশন শুরুর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসে এ কর্মসূচীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। অনশন শুরুর আগে রিক্সা শ্রমিকরা লাল পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে নগরী প্রদক্ষিন করেছে।
সংহতি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালানোর পেশার সঙ্গে কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ জড়িত। তাদের পরিবার-পরিজন এর আয়ের ওপর নির্ভরশীল। নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা বন্ধ করে দেয়ায় এ পরিবারগুলো অনাহারে-অর্ধাহারে দিনপাত করছেন। গরীব শ্রমিকদের পেটে লাথি দিতেই রিকশা বন্ধ করা হয়েছে। বক্তারা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে অভিযুক্ত করে বলেন, তিনি নগর পিতা হয়েও নগরবাসীর কথা শুনেন না। তার সঙ্গে সাধারন মানুষ দেখা করার সুযোগ পাননা। রিক্সা শ্রমিকরা তাদের দুঃখের কথা জানাতে বিভিন্ন সময় মেয়রের কার্যালয় ও বাসার সামনে অপেক্ষা করলেও তিনি দেখা দেননি।
অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আঃ রাজ্জাক, গণফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম, আবু রায়হান, দুলাল মজুমদার, গণ সংহতি আন্দোলনের জেলা আহবায়ক দেওয়ান আঃ রসিদ নিলু, নৌযান শ্রমীক ফেডারেশন জেলা সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
২০১৯-১০-০২