যেভাবে গ্রেফতার হলেন ক্যাসিনো সম্রাট

Spread the love

নাগরিক ডেক্স ।। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। খালেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও ফেনী সীমান্ত দিয়ে বিদেশে পালানোরও চেষ্টা করেন তিনি। তবে ব্যর্থ হন।

এরই মধ্যে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ করেও কোনো সুবিধা করতে পারেননি সম্রাট। একপর্যায়ে যখন বুঝতে পারেন দেশ থেকে পালানোর আর কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিনি।

এরপর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কাকরাইলে ঈশা খাঁ হোটেলের বিপরীতে ‘ভুঁইয়া ম্যানশনে’ নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নেন। সেখানে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সারারাত থাকেন। এরপর অবস্থা নিজের অনুকূলে না থাকায় সেখান থেকে সটকে পড়েন সম্রাট। চলে যান অনেকটা আত্মগোপনে। সর্বশেষ গোয়েন্দারা জানতে পারেন, তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অবস্থান করছেন।

সম্রাটকে গ্রেপ্তারে গতকাল রাতেই চৌদ্দগ্রাম পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল। ক্যসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলার কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে যায় দলটি। তাঁরা জানতে পারেন ওই গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন সম্রাট। বাড়িটি তাঁরা ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে ভোর ৫টার দিকে ওই বাড়ি থেকে সহযোগী আরমানসহ গ্রেপ্তার করা হয় সম্রাটকে। পরে তাঁদেরকে আনা হয় ঢাকার টিকাটুলিতে অবস্থিত র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যে এলাকা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেটি সম্রাটের আত্মীয়ের বাসা। বাড়িটি মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির। তবে তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গভীর রাতে ওই এলাকায় একটি বাড়ি র‌্যাব ঘিরে রাখে। পরে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার। তিনি বলেন, ক্যসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আজ রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর চৌধুরী বাড়ি থেকে সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী আরমানকে আনা হয়েছে ঢাকার টিকাটুলিতে অবস্থিত র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *