সাদ যেভাবে দেশের ফুটবলের তারকা হলেন

Spread the love


জামাল ভুইয়ার সেট পিসে মাথা ছুঁইয়ে রাতারাতি বাংলাদেশের তারকা বনে গিয়েছেন সাদ উদ্দিন।

ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাঠে ৪২ মিনিটে গোল করে প্রায় পুরো স্টেডিয়াম দৌঁড়ে উদযাপন করেন উইঙ্গার সাদ।

জাতীয় দলের হয়ে এটিই প্রথম গোল সাদের। আর দলের হয়ে এনিয়ে মোটে আটটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

সাদের গোলের পর স্টেডিয়াম জুড়ে প্রায় নীরবতা বিরাজ করছিল।

মাঠে ভারতের দর্শক স্বভাবতই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, তাই সাদের গোল আনন্দ দিয়েছে গোটা ২০০ থেকে ৩০০ বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থকদের।

যদিও শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। তবুও সাদকে নিয়ে আলোচনা চলছেই।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিজস্ব কোনো জিমন্যাসিয়াম নেই। তাই ফিটনেস নিয়ে ফুটবলাররা নিজে থেকেই কাজ করতে বাধ্য হন।

এর মধ্যেও যারা ফিটনেস নিয়ে বাড়তি কাজ করে নজর কেঁড়েছেন তাদেরই একজন এই সাদ উদ্দিন।

“ফিটনেস নিয়ে নিজে নিজেই কাজ করতেন সাদ, আবাহনী ক্লাবে যখন যেতাম তখন দেখতাম অন্য সতীর্থরা সাথে না থাকলেও একাই কাজ করে যাচ্ছেন সাদ উদ্দিন।” , বলেন ফুটবল বিশ্লেষক মামুন হোসেন

ফারহান আখতার অভিনীত ভারতের সিনেমা ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ দেখে অতিরিক্ত পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা পেতেন সাদ।

“ফিটনেস নিয়ে কোচের পরামর্শ ছিল কিছু, সেগুলো অনুসরণ করতেন এবং খাবার খুব নিয়ন্ত্রণে রাখতো সাদ।”

সাদ যেভাবে জাতীয় দলে আসেন

২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব ১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলটি।

সেই দল থেকে সিনিয়র পর্যায়ে উঠে আসেন সাদ, নিপু, আতিক।

কিন্তু সাদ সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন।

“আবাহনীর মতো বড় ক্লাবে খেলছে এখন সাদ, এর আগে তার গোড়াপত্তন হয় বয়সভিত্তিক দলে,” বলছিলেন মামুন হোসেন।

তবে সাদের উঠে আসার ক্ষেত্রে আরো একজন বড় ভূমিকা পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার ওয়াহেদ আহমেদ।

আবাহনী ও মোহামেডানে খেলা এই ফুটবলার এখন অবসর নিয়ে ইংল্যান্ডে থাকেন।

ওয়াহেদ বলেন, “সাদের পরিবারের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক, বয়সভিত্তিক দল থেকে ওকে আমি আবাহনী ক্লাবে নিয়ে আসি, তখন থেকেই ওর ফুটবলে শুরু।”

“আমরা একদম আপন ভাইয়ের মতো, এখন নিয়মিত কথা হয়, ভিডিওচ্যাট করি।”

ওয়াহেদ আহমেদ আরো যোগ করেন, “ফুটবলে কিন্তু সাদ নিজে থেকেই এসেছে, অনুর্ধ্ব ১৬তে। ও যেভাবে খেলেছে আমার মনে হয়েছে ঢাকায় নিয়ে আসলে ভালো করবে, তখন ভাবি যে ওকে আবাহনীকে নিয়ে আসি, প্রথম বছর টিমে সুযোগ পায়নি কিন্তু তার পরের বছর সে ম্যাচ পেয়েছে এবং ভালো করেছে।”

ফুটবল নিয়ে কাজ করা মামুন হোসেন বলেন, “ফেডারেশন কাপে আবাহনীর হয়ে মাঝমাঠ থেকে কাটিয়ে নিয়ে একটি গোল করে মূলত আলোচনায় আসেন সাদ।”



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *