নাগরিক রিপোর্ট : পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় যুবক সাগর মুন্সী (২২) নিঁখোজ হওয়ার দুদিন পর ধানক্ষেতে তার লাশ পাওয়া গেছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করতে মাটিচাঁপা দেয়া হয়েছিল। রোববার সকালে ইন্দুরকানির পাড়েরহাট ইউনিয়নের দড়িচর ইকরবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ধানক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।
সাগর মুন্সী পাশ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সুতালরি গ্রামের আমজাদ মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগরের পরিবার দীর্ঘদিন যাবত ফেনী জেলা শহরে বসবাস করে আসছেন। ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাটের বাড়ৈখালী গ্রামে তার শশুর বাড়ি। সাগর মুন্সী ঘটনার কয়েকদিন আগে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত শুক্রবার বিকালে তিনি দড়িচর ইকরবুনিয়া গ্রামে লাভলুর বাড়ি সংলগ্ন একটি দোকানে কলা বিক্রি করতে যান। সেখান থেকে বাড়ৈখালী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় লাভলু সাগরকে মারধর করে। এরপর থেকে সাগর নিখোঁজ ছিলেন। সাগরের সাথে তার পূর্বে বিরোধ ছিলো বলে জানা গেছে।
নিহতের শশুর নজরুল শেখ সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বিকালে বাড়ৈখালী বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন সাগর। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও সাগর বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজির পর শনিবার বিকালে শাশুড়ি ফাহিমা বেগম ইন্দুরকানী থানায় একটি জিডি করেন।
ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ পূর্ব বাড়ৈখালী গ্রামের মৃত জলিল মোল্লার ছেলে আজাদ মোল্লা (১৪) নামক এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ধানক্ষেত থেকে সাগর মুন্সীর লাশ উদ্ধার করেছে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, সাগরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আজাদ। পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।##
২০১৯-১০-২৭