সংরক্ষনের আশ্বাস: দখল-দুষনে কীর্তনখোলা নদী

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ দখল ও দুষনের কবলে পড়েছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী। নগরীর ৭টি ওষুধ কোম্পানীর তরল বর্জ্য, ক্লিনিক্যাল বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য নগরীর কীর্তনখোলাকে দুষন করছে। এর উপর নদীর দুই পাড় দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। মঙ্গলবার ‘কীর্তণখোলা নদী সংরক্ষণে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান কীর্তনখোলা সংরক্ষনের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা) এর আয়োজনে আলোচনা সভায় মুল প্রবন্ধে বেলা’র নেট সদস্য মোঃ রফিকুল আলম উল্লেখ করেন, নগরীর বৃহৎ ওষুধ শিল্পকারখানা গ্লোবাল ক্যাপসুল লিমিটেড, অপসোনিন ফার্মা লিমিটিটে, ক্যামিস্ট ল্যাবরেটরি, রেফকো, ইন্দো বাংলা, মেডিমেট ফার্মার তরল বর্জ্য কীর্তনখোলায় গিয়ে মিশছে। এ তথ্য পরিবেশ অধিদপ্তরের। এছাড়া নগরীতে দৈনিক সৃস্ট প্রায় ২২০টন বর্জ্য সাপানিয়া খালের মাধ্যমে নদীতে মিশছে। দৈনিক ১০টন ক্লিনিকাল বর্জ্যও কীর্তনখোলায় পড়ছে। লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযানের বর্জ্যও নদীতে পড়ছে। তার দাবী, সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় কীর্তণখোলার ফোরসোর দখল হচ্ছে। তিনি কীর্তনখোলাকে বাচাঁতে অন্তত একটি উদ্যোগ শুরু করা হোক। উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে কীর্তণখোলা তীর দখল মুক্ত ও দূষণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সুপারিশ করেন তিনি।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাড. এসএম ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলা’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন। আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাকিব, বরিশাল মানবাধিকার জোটের সভাপতি ডা. হাবিবুর রহমান, উন্নয়ন সংগঠক রনজিত দত্ত, নাসির উদ্দিন, সংরক্ষিত কাউন্সির কহিনুর বেগম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, কীর্তণখোলাকে দখল এবং দূষণ থেকে রক্ষায় তারা চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নদী তীরের আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু থেকে বেলতলা পর্যন্ত ঘিরে পর্যটন এলাকা গড়ে উঠতে পারে। তিনি নদী দুষনে লঞ্চে বর্জ্য সঠিক জায়গায় ফেলার তাগিদ দেন। দখলদারদের উচ্ছেদেও কাজ করছে টাক্সফোর্সের টিম বলে জানান জেলা প্রশাসক অজিয়র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *