প্রসঙ্গ সাকিব: পাপনকে ধুয়ে দিলেন সাবের

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আগে থেকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কিছু জানতেন না বলে যে দাবি করেছেন তা সত্য নয় বলে মনে করেন সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। এ ইস্যুতে পাপনের ‘দ্বৈত’ ভূমিকার কঠোর সমালোচনাও করেছেন তিনি।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে দোষ স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে।
অপরাধ ও শাস্তি দুটোই মেনে নেওয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের। ফলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের তারকা এই অলরাউন্ডার। ফলে ২০২০ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না সাকিব।
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি পাপনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন ১৯৯৬-২০০১ সময়ের বোর্ড প্রধান সাবের। বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন তিনি।
পাপনের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে এক টুইটে সাবের লিখেছেন- “আমার মনে হয় বিসিবি পুরোপুরি অবহিত ছিল। মিস্টার পাপন যে বলেছেন, তার কোনো ধারণাই ছিল না, কথাটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও আমার এটা বলতে হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের ভিডিও ক্লিপ, দেখে মনে হচ্ছিল পাপন সাহেব আইসিসির ঘোষণার জন্য অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছিলেন।”
অপর টুইটে সাবের লিখেছেন, ‘অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি হবে। বিসিবি কমপক্ষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারত। দুঃখ লাগছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এ ব্যাপারে সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি। এখন অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে।”
বিসিবি ও পাপনের উদ্দেশে আরও একটি টুইটে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন- আইপিইউ’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা সংসদ সদস্য সাবের লিখেছেন- “ভণ্ডামি, সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্ট দ্বৈত চরিত্র- ‘বিসিবি আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেৃ। ক্রিকেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে বটে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগত ম্যাচ ফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে প্রকৃতপক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটাকে আরও উৎসাহিত করছে বিসিবি। লজ্জা!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *