বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

Spread the love

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে আসন্ন বার কাউন্সিল পরীক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আর বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বার কাউন্সেলের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে বার কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মশিউজ্জামান। আর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

প্রসঙ্গত, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অভিযোগে প্রায় ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড না দিতে সিদ্ধান্ত জানায় বার কাউন্সিল। পরে বার কাউন্সিলের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ভুক্তভোগী প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী পৃথক রিট করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ২০ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে বার কাউন্সিল থেকে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন মঞ্জুর করে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং আবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আইন বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫০ জনের আসন নির্ধারণ করে দেয়। ওই নির্দেশনা না মেনে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার অভিযোগে প্রায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের সুযোগ দিচ্ছিল না বার কাউন্সিল।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও টাইমস ইউনিভার্সিটি ফরিদপুরের শিক্ষার্থীরা। এ ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যারা নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সুযোগ পাননি। নিরুপায় শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন ও ফরম পূরণে ব্যর্থ হয়ে রিট করেন হাইকোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *