অসৎ’র ভীড়ে সততা বড়ই অসহায়

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল ॥ হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান। নজরুলের অমোঘ বানী। সততার কোন দারিদ্রতা নেই, সততা ব্যাক্তির দারিদ্রতাকে শানিত করে উপলব্ধির ক্ষেত্রগুলিকে আরো সুবাসিত করে। হয়তো আধুনিক সভ্যতার কৃত্তিম আলোয় তার উজ্বালতা চোখে পরেনা। সততার জানালাগুলো যার যতটুকু খোলা থাকে-দখিনের হাওয়ায় প্রশান্তির ঝরনাধারায় সে তারচেয়েও বেশি প্লাবিত হতে থাকে অহর্নীশ। হোক না তা কুড়েঘরের খাটিয়া ছাড়া ঘর। কুড়েঘরের ফাঁক গলে যে জোছনা কূর্নীশ করে সৎ মানুষের হ্রদয়কে, তার উপলব্ধি কি আর কালো টাকার রাজপ্রসাদের ইট সুরকির ভিতরে আসে?
সততা আর সন্মান বৃস্টি আর জোছনার মত, এরা প্রকৃতিটাকেই পরিবর্তন করে দেয়-ভাললাগা, আবেগী ভালবাসার প্রতিটি রঙ দিয়ে। অবশ্য বৃস্টি আর জোছনার রঙগুলো অনুভব করার লোকগুলো ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে আমাদের সমাজ থেকে। এখন বৃস্টিতে না ভিজে ঘরের বাথরুমের ঝরনায় বৃস্টির সুখ খুঁজে হয়রান।
অসৎ লোকের ভীড়ে সৎ মানুষগুলির নিস্পাপ মুখগুলিকে বড়ই করুন মনে হয়। সমাজ ধ্বংসের আদিম খেলায় মেতে উঠছি আমরা। সৎ মানুষগুলিই আমাদের সমাজের আলোকিত মানুষ,আলোকিত মানুষদের কাছ থেকে যতটুকু আলো আমরা নিব, সমাজ, রাস্ট্র ততই এগিয়ে যাবে।
শান্তির পল্লীতে সততা যতটুকু সুখ দিতে পারে, তা আর কি সে হয়! সততাই যেন হয় আমাদের চলার পথের শক্তি, সাহসের প্রানবন্ত জায়গা। যেখান থেকে শুধু আলোই আসবে।

১ Comment

  1. জুয়েল ভাই আপনি হবেন কবি, হইছেন সাংবাদিক।
    সুখ তো মস্তিষ্কের একটি অণুরণন মাত্র ।অর্থ সেটা যতই হোক অসৎ পথে উপার্জিত হলে কখনোই মস্তিষ্কে সুখের অনুভূতিটা দিতে পারে না। সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *