আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ সোহেল রানাকে মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসীরা হাত-পা বেঁধে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় তিনি অল্পের জন্য সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পায়। গুরুতর আহত সোহেল রানাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বুধবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার গাজীপুর বন্দরের কাওসার হাওলাদারের ইট বোঝাই ট্রলিগাড়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে পাড় হচ্ছিল। এ সময় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ প্রচার সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা এতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে তার সাথে ট্রলিগাড়ীর মালিক কাওসারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় কাওসার। ওইদিন রাত নয়টার দিকে যুবলীগ নেতা সোহেল মোটর সাইকেল চালিয়ে সোনাখালী গ্রামের বাড়ী যাচ্ছিল। তার বাড়ীর সন্নিকটে গাজীপুর বন্দর মাদ্রাসার সামনে আসলে কাওসারের নেতৃত্বে শামীম গাজী, জাহাঙ্গির গাজী,শামীম মুসুল্লী ও খলিল মুসুল্লীসহ ১২/১৫ জন সন্ত্রাসী সড়কে রশি দিয়ে তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে সোহেলকে ধরে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। ওইখানে নিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে উলঙ্গ করে পড়নের কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে বেধরক মারধর করে এবং খালে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। সোহেলের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী শিল্পী বেগম এগিয়ে এলে তাকেও বেধরক মারধর করে। স্থানীয়রা ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় সোহেলের কাছে থাকা দোকানের দুই লক্ষ টাকা ও দামী মোবাইল ফোন সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্বজনরা সোহেলকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বুধবার আহত সোহেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
আহত সোহেল রানা বলেন, কাওসার হাওলাদারের গাড়ী ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে পাড় হতে নিষেধ করায় তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী শামীম গাজী, জাহাঙ্গির গাজী, শামীম মুসুল্লী ও খলিল মুসুল্লীসহ ১২/১৫ জন সন্ত্রাসী বেধরক মারধর করে এবং উলঙ্গ করে পড়নের কাপড় দিয়ে আমাকে বেঁধে খালে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্থানীয় লোকের কারনে আমি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। আমি ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত কাওসার হাওলাদার বলেন, আমি ঘটনার সময় গাজীপুর ছিলাম। তবে শুনেছি সোহেলকে শামীম গাজীর বড় ভাই জাহাঙ্গীর গাজী মারধর করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার বলেন, আহত সোহেলের পিঠ, পাছাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০১৯-১১-১৩