বাবরী মসজিদের বদলে জমি মানবেনা জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দ

Spread the love

বাবরি মসজিদের স্থলে মন্দির নির্মাণের রায়ে অযোধ্যার বিকল্প স্থানে মসজিদ স্থাপনের জন্য বরাদ্দকৃত পাঁচ একর জমি  মেনে নেবে না মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম বাদী জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দ। বৃহস্পতিবার দলটির ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, মসজিদের বিকল্প হিসেবে কোনও টাকা বা জমি হতে পারে না। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি দলটির পক্ষ থেকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এখবর জানিয়েছে।

শতাব্দী প্রাচীন বিবাদের আইনি ইতি টেনে ৯ নভেম্বর (শনিবার) অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে,বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর অযোধ্যার যেকোনও স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি খোঁজা শুরু করে উত্তর প্রদেশ সরকার। তবে মুসলিম পক্ষের অন্যতম বাদী ইকবাল আনসারীসহ স্থানীয় মুসলিম নেতারা জানিয়ে দেন জমি বরাদ্দ করতে হলে অধিগ্রহণ করা জমি থেকেই করতে হবে।

আর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করতে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসে মামলার অন্যতম বাদী জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দ এর ওয়ার্কিং কমিটি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উত্তর প্রদেশ শাখার সভাপতি মাওলানা আশহাদ রশিদি। তিনি জানান, বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর একটি ওয়ার্কিং কমিটি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদের বদল দুনিয়ার অন্য কিছুর সঙ্গে হতে পারে না। তা অর্থ বা জমি যাই হোক না কেন। তিনি জানান, অন্য কোনও মুসলমান সংগঠনেরও এই ‘বিনিময়’ নেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করে তাদের সংগঠন।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রশ্নে মাওলানা রশিদি বলেন, জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি আরশাদ মাদানির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি কয়েক দিনের মধ্যে আদালতের রায়ের কপি পর্যালোচনা করবেন। আর তারা সংগঠনের নিজস্ব আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।

১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দ ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল সংগঠন। একশো বছর পার করে দেওয়া এই সংগঠনটি খিলাফত আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। দেশ বিভাগেরও বিরোধী ছিল তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *