নাগরিক ডেক্স : রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার কারণে সৈকত স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রুম্পা হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার কথিত প্রেমিক সৈকতের রিমান্ড শুনানিতে এ দাবি করেন তার আইনজীবী আব্দুল হামিদ ভূইয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শাহ্ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সৈকতকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ৩ টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। এরপর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত সৈকতের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে আব্দুল হামিদ ভূইয়া রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এজাহারে আসামির নাম নাই। ঘটনার তিন দিন পর ডিবি পুলিশ ফোন দেয়। আসামির মধ্যে কোনো ভয় ছিল না। নির্ভয়ে তিনি সেখানে যান। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
আইনজীবী বলেন, রুম্পার উত্যক্তের কারণে সৈকত ভার্সিটি ত্যাগ করেছে। অন্যত্র পড়াশোনা করছে। গত দুই সপ্তাহে তার বাবা ও এক চাচা মারা গেছে। এমন অবস্থায় হত্যা করার মানসিকতা অবশ্যই থাকার কথা না। ভিকটিমকে হত্যা করা হয়েছে না সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যে আছে। হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি।
সৈকত ভিকটিমের কারণে ভার্সিটি ত্যাগ করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবীর এ কথা পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, যদি আসামিকে ভিকটিমের কারণে ভার্সিটি ত্যাগ করতে হয় তাহলে তার মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। আর এ ক্ষোভ থেকে আসামি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। রুম্পা হত্যার দৃশ্য হৃদয় বিদারক।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর রুম্পা রাজধানীর শান্তিবাগের বাসা থেকে বের হন। রাত পৌনে ১১টার দিকে বাসা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।