এ,এইচ, বাকী চৌধুরী, লন্ডন থেকে: কাল ইউকে জাতীয় নির্বাচন। এ বারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের ভিতর চলছে যুক্তি, তর্কের খেলা। বিশেষ করে ব্রেক্সিট একটা বড় ইস্যু হয়ে সামনে চলে আসছে ভোটারদের মাঝে। কনজারভেটিভ, লেবার, এস,এন,পি,ডি,ইউ,পি, এলডিপিসহ আরো কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে থাকলেও মূল লড়াইটা হবে কনজারভেটিভ ও লেবারের মাঝে।
জন্মসূত্রে যারা ব্রিটিশ নাগরিক তাদের অধিকাংশ ভোটই আগে কনজারভেটিভের বাক্সে যেত। এখন ব্রেক্সিটের বিষয়টা সামনে এসে ওই ভোট বাক্সে ভাগ বসাতে পারেন লেবার। তাই নির্বাচনের ফলাফল কোনদিকে যায়, তা অনুমান করা কঠিন হয়ে পরেছে। এদিকে লেবারের আছে ইমিগগ্রান্ট ভোট ব্যাংক। যেহেতু লোকাল কাউন্সিলরদের ভিতর বড় একটা অংশ লেবারের আর ইমিগ্রান্টদের অধিকারের বিষয় লেবার সবসময়ই এগিয়ে, তাই এ জায়গাটাও ভোটের ক্ষেত্রে বড় একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে বলে ভোটারদের ধারনা।
এ দিকে যে ছয়জন বাংলাদেমী নারী ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচনে আসছেন, তারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন, তাদের ভিতর টিউলিপ সিদ্দিকি, রুপা হক, রওশনারা আলী, ডক্টর আফছানা আলীর জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তার সমর্থকরা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারীদের এ অগ্রজাত্রাকে বাংলাদেশ, ইউকের ভিতর সম্পর্কের ভিত আরো মজবুত হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।
টিউলিপ সিদ্দিকির নির্বাচনী এলাকা কিলবার্ন হেমিস্ট্রেট, রুশনারা আলী-বেথনাল গ্রীন বো, আর ডক্টর আফছানা আলীর লাইম হাউজ পপলারের ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। সবচেয়ে গৌরবের বিষয়- যে কয়জন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নির্বাচনে লড়ছেন, তারা সবাই শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়,এবং প্রত্যেকেই সুনামের সাথেতার কাজটা করে যাচ্ছেন।
২০১৯-১২-১১