প্রবীনদের সন্মানে এইজ ফ্রেন্ডলি পার্কিং

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: প্রবীন সত্তার সাথে জড়িয়ে আছে অভিজ্ঞতার ভান্ডার, একগুচ্ছ সুন্দর চিন্তা ধারা ও তার প্রকাশ পুরো সমাজকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। জীবনকে সচল ও গতিশীল করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। আর এ প্রবীনদের প্রতি সন্মান জানাতেই,তাদের কস্ট লাঘবে নুতন করে জোগ হলোএইজ ফ্রেন্ডলি পার্কিং।
সভ্য জাতি হিসেবে আয়ারল্যান্ড বিশ্ববিখ্যাত। নাগরিক সুবিধা কত রকমের হতে পারে তার দৃস্টান্ত আয়ারল্যান্ড। জনগনের যে কোন ধরনের ভোগান্তি এরা দেখে অনেক গুরত্ব সহকারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ চোখে পরার মত। প্রতিবন্ধীদের, পরিবারের পার্কিংয়ের পরে এবার নুতন করে জোগ হওয়া এ এইজ ফ্রেন্ডলি পার্কিং জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলছে। প্রবীনদের যেন শপিং মলের দূরে গাড়ী পার্ক করে হেঁটে কস্ট করে না আসতে হয় এ জন্যই এ ব্যাবস্থাা।
প্রায় প্রতিটি সময় যখন এ সব সুবিধাগুলি দেখি নিজের জন্মভূমির প্রবীনদের কথা মনে করে ভাবনা এসে ভর করে এই ভেবে- আমরা আমাদের প্রবীনদের জন্য কতটুকু সন্মান দেখাই ব্যাক্তিগত ভাবে,বা রাস্ট্রীয়ভাবে। খাদ্য,বস্ত্র,চিকিৎসা,বাসস্থানের জন্য আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে সত্য,কিন্তু সন্মান জানানোর জন্য তো কোন বিনিয়োগের দরকার হয়না। বয়স্কদের সন্মান করা আমাদের অতীত ঐতিহ্যের ভিতর দিকে হাঁটছে,বর্তমান সময়ে বয়স্কদের সন্মানে কার্পন্য করছে বর্তমান প্রজন্ম। কিন্তু নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য হলেও প্রবীনদের সন্মান দেয়াটা অতীব জরুরী,আর তো কয়টা বছর তারপর আজকের নবীনরাও তো প্রবীনের সাঁড়িতে। বর্তমানের সন্মানের দরজা তাদের জন্য রুদ্ধ করে রাখলে- আমাদের জন্য সন্মানের দরজা কি আদৌ উন্মুক্ত থাকবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *