বিতর্কিত হলো কমিউনিটি বিদ্বেষীরা

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: আয়ারল্যান্ডে যে কয়টি কাউন্টি আছে, তার ভিতর গলওয়ে প্রাকৃতিক মনো মুগ্ধকর, শান্তিপ্রিয় একটা শহর নামে ব্যাপক পরিচিতি আছে। এখানে বসবাস করা বাঙ্গালীরাও বেশ শান্তিপ্রিয়, সে শান্তির ঘরে অশান্তির পায়রা হয়ে উড়ে এসেছে কিছু সুবিধাবাদী, ক্ষমতার চেয়ার আঁকড়ে ধরে রাখা কমিউনিটি বিদ্বেষী, এ সব স্বার্থলোভী স্বল্প সংখ্যক মানুষ অতীতেও বাঙ্গালী সমাজকে দু ভাগে ভাগ করে রেখেছে, এখনও তারা সোচ্চার। বাংলাদেশ কমিউনিটি গলওয়ের উদ্যোগে এ যাবত কালের সেরা অনুস্ঠান তারা উপহার দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন সবার কাছ থেকে।
কিন্তু এ অনুস্ঠানটি যেন সুন্দরভাবে না হয়,তার জন্য কিছু সংখ্যক কমিউনিটি বিদ্বেষী লোক অপপ্রচার করেছিলো নানান কথা বলে। ধোপে টেকেনি তাদের যুক্তি,তাই প্রায় সকলেই এসেছিলেন অনুস্ঠানে,হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যে যার সামর্থ অনুযায়ী। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে এখানে,এক ঝাক তরুন কমিউনিটির সদস্যরা এগিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। আর কিছু চেয়ার পিপাসু লোকের গাত্রদাহ তাতেই। তাদের ধারনা ছিল- কমিউনিটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি,এখানে তারা অতীতে যে রকম বিভেদ সৃস্টি করে পূর্ব পাড়া,পশ্চিম পাড়া করে রেখেছে,সেরকমই চলবে। বাঙ্গালী হয়ে ভারতীয় বাঙ্গালীর স্বার্থ যেসব তথাকথিত সংখ্যায় নগন্য তাবেদারী চক্রটির উপর অধিকাংশ বাঙ্গালীরাই নাখোশ।
তাদের বলয় থেকে বের হয়ে এসেছেন অনেকেই,গুটি কয়েক আছে ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মত। এ বিষয় বেশ কয়েকজন বাঙ্গালীর সাথে কথা বললে তারা যানান- গুটি কয়েকের গুটিবাজীতে কমিউনিটি বিভক্ত হয়েছে, আমরা কোন বিভক্তি চাইনা। যারা অপপ্রচার চালায় স্টুডেন্ট আর ওয়ার্ক পারমিটের বিভক্তিতে,তাদের দূর্বল যুক্তিতে হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গলো দুটো অনুস্ঠান,যেখানে বাংলাদেশ কমিউনিটি গলওয়ের অনুস্ঠানে অনেক ওয়ার্ক পারমিট পরিবার ছিল,আবার ফেমিলি গেট টুগেদার নামে যে অনুস্ঠান ছিল,তাতেও স্টুডেন্ট পরিবার ছিল। তাহলে ভিন্নতা কারা খুঁজে? কেনইবা খুঁজে? প্রশ্ন অধিকাংশ বাংলাদেশীদের।
ওয়ার্ক পারমিট আর স্টুডেন্ট, যারা আলাদা চোখে দেখেন তারাই মূলত কমিউনিটি বিভক্তিকরনে পুরোটা দায়ী বলে মতামত ব্যাক্ত করেছেন অনেকেই। স্টুডেন্ট আর ওয়ার্ক পারমিটের দূর্বল যুক্তির খেলা সৃস্টিকারী সে সব কুশীলবরা আগে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকলেও এখন- মুখোশ উন্মোচিত হওয়ার কারনে এটার সুফল পেতে শুরু করেছেন এখানে বসবাসরত অধিকাংশ বাংলাদেশীরা।এভাবে সকল অপপ্রচার,বাধা, বিঘ্ন পেড়িয়ে বাঙ্গালীরা এগিয়ে যাবে তার আপন গতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *