নাগরিক রিপোর্ট : বরিশাল বিভাগে পেয়াজ চাষ বৃদ্ধির উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ১ হাজার ১০৬ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। সরকারি প্রনেদনা এবং প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়াজ উৎপাদনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ নির্ধারন, বীজ ও উপকরন সরবরাহ এবং কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তারা।
বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্যে নিশ্চিত করেছে। ওই সুত্রমতে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বরিশাল অঞ্চলে পেয়াজ আবাদ এবং উৎপাদন কম হচ্ছে। পাশ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরে যে পরিমান পেয়াজ উৎপাদন হয়, তার অর্ধেকও হয়না বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায়।
বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, পেয়াজ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত মাটি প্রয়োজন। যা বরিশাল অঞ্চলে তেমন নেই। তাছাড়া বরিশাল অঞ্চলের কৃষকরা পেয়াজ চাষে আগ্রহী কম। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পেয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সরকার উদ্যেগ গ্রহন করেছে। কৃষি মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের ৬ জেলায় পেয়াজ চাষ বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আর্থিক প্রনেদনা ছাড়াও ১৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত কৃষকদের দিয়ে পেয়াজ ও মশলা জাতীয় কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো, দক্ষিণাঞ্চলেও পেয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
কৃষিবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, চলতি রবি মৌসুমে ৬ জেলায় পেয়াজ চাষের জন্য ১ হাজার ১০৬ হেক্টর জমি নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক ভোলা জেলায় ৬১০ হেক্টর জমিতে পেয়াজের চাষ করা হবে। এছাড়া বরিশাল জেলায় ৩৫০ হেক্টর, পিরোজপুরে ৬০, পটুয়াখালীতে ৬১, বরগুনায় ২০ এবং ঝালকাঠীতে মাত্র ২ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষ করা হবে।
বরিশালের অন্যতম পাইকারী পেয়াজ ব্যাবসায়ী শেখ মাসুদ রানা কৃষি বিভাগের এ উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা পেয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যটি উৎপাদনে দেশকে স্বাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন। কৃষি বিভাগ বরিশাল অঞ্চলে পেয়াজ উৎপাদনে সফল হলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।##
২০২০-০১-০২