সৈয়দ জুয়েল: বাংলাদেশী পরিবারের ভিতর এক ভারতীয় দরবেশের গায়ে মানেনা আপনি মোড়লগিরিতে অস্বস্তিতে আছেন গলওয়ের অনেক বাঙ্গালী পরিবার। ২০০০ সালের দিকের কথা-হাতে গোনা কিছু বাঙ্গালী পরিবারের বাস তখন গলওয়েতে। কিছু সংখ্যক বাঙ্গালীদের নিয়ে এ ভারতীয় দরবেশ ভারতীয় রেস্টুরেন্ট দিয়ে মদ বিক্রির উপর ভর করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। নামে, বেনামে করেছেন সম্পদের পাহাড়। নিজের ভাগ্য ফিরলেও তেমন ভাগ্য ফিরেনি সাথের বাঙ্গালী পার্টনারদের।
যেহেতু তাদের বাড়ি ক্রয় থেকে ব্যাবসায় কর ফাঁকি সংক্রান্ত সবগুলো কাজই অত্যান্ত পারদর্শিতার সাথেই করতো এ ভারতীয় দরবেশ, আর তাতেই সন্তুষ্ট থাকতো তখনকার তার বাংলাদেশী পার্টনাররা। এ ভারতীয় বাঙ্গালীর একাধিক বাড়ি,একাধিক ব্যাবসা থাকলেও বাংলাদেশী পার্টনাররা যেই তিমিরে সেই তিমিরেই। তৎকালীন মেরুদন্ডহীন কিছু বাঙ্গালীর ছত্রছায়ায় থেকে এক সময় বাঙ্গালীদের উপর এ ভারতীয় দরবেশ কর্তৃত্ব দেখাতে চেস্টা করলে বেশ কয়েকবার তাকে বিব্রত অবস্থায় পরতে হয়েছিল। দু মুখো এ দরবেশকে বাঙ্গালীরা না চিনলেও চিনতে বেগ পেতে হয়নি তার আপন ভাইয়ের।
আপন ভাই-ই তার রেস্টুরেন্টের নামে মামলা করে দিল আইন অমান্য করার জন্য। বেশ বড় অংকের জরিমানা দিয়ে আপোষ করতে বাধ্য হয়েছিল,শুধু তাই নয়, এরপরে আরেক কর্মচারীকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে কাজ না দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে বেতন না দিয়ে চেয়েছিল সে যেন স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে দেয়। কিন্তু আয়ারল্যান্ডে শ্রম আইনের পক্ষে (ঘঊজঅ) ন্যাশনাল এম্পলয়ী রাইটস্ অথোরিটি কাজ করায় বিপাকে পরে যায় এ দরবেশ। তৎকালীন ঐ কর্মচারীর অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে ছদ্মবেশে ন্যাশনাল ইমপ্লয়ী রাইটস্ অথোরিটির লোকজন রেস্টুরেন্টে খেতে এসে ঐ কর্মচারীকে কাজ করতে দেখে ভারতীয় বাঙ্গালীকে প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় (নিরার) সামনে তার মুখোশ খুলে যায়,বড় অংকের জরিমানা গোনার ভয়ে বেশ কয়েকদিনের ভিতর রেস্টুরেন্ট বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিল এ ভারতীয় দরবেশ।
এরপরে মদের ব্যাবসা গুটিয়ে কালো টাকা সাদা করার লক্ষ্যে হালাল ব্যাবসা শুরু করেন, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও নাকি তার কাজই করে,এখানেও মেয়াদোত্তীর্ন মাল বিক্রি করে ধরা খেয়েছিল বেশ কয়েক বাঙ্গালীদের কাছে। মদ বিক্রির হারাম টাকায় গড়ে তোলা এ হালাল ব্যাবসা কতটা হালাল তার সদুত্তর সবারই জানা। মিস্টভাষী এ দরবেশের সেকেন্ড ইন কমান্ড এক বাংলাদেশী হাওয়ায় নাখোশ এখানকার অনেক বাঙ্গালী। চেয়ার পিপাসু এ বাঙ্গালীই এ ভারতীয় বাঙ্গালীকে বাংলাদেশের বাঙ্গালী সমাজে জায়গা করে দিছেন বলে অভিযোগ আছে। গলওয়ের বাঙ্গালী সমাজকে দ্বিখন্ডিত করার মূখ্য ভূমিকা এদেরই বলে অনেকের ধারনা।
ভিনদেশী এ দরবেশের চাটুকারিতার তালিকায় আরো কিছু বাঙ্গালীর দূর থেকে কলকাঁঠি নাড়ার অভিযোগও এসেছে একাধিকবার। আশার কথা হচ্ছে-মুস্টিমেয় এ লোকগুলোকে অনেক দেরিতে হলেও চিনতে পেরেছেন এখানকার অধিকাংশ বাঙ্গালীরা। আর তাই দরবেশ ও তার দোসরদের বসন্তের কোকিলের মত কদাচিৎ ডাক শোনা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবেনা বলেও তাদের ধারনা। কুচক্রী এ মহলের লোলুপ দৃস্টি থেকে বের হয়ে সব বাঙ্গালীরা এক ছাতার নীচে এসে বিদেশের মাটিতে নিজেদের মুখ আরো উজ্বল করবে, এটাই প্রত্যাশা।
২০২০-০১-১২