নাগরিক ডেস্ক: মিষ্টিকুমড়া হার্টের রোগ থেকে ডায়াবেটিস-সব রোগ নিরাময়ে কাজ করে। হজমশক্তি বাড়ায়। ত্বক রাখে টানটান। কমিয়ে দেয় বয়স। কুমড়া খাওয়া যায় বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে। কুমড়ার স্যুপও দারুণ সুস্বাদু। খেতে পারেন কুমড়ার হালুয়া।
মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন অ, ভিটামিন ঈ, ভিটামিন ঊ, বি-কমপ্লেক্স। বিটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আলফা হাইড্রোক্সারাইড, আয়রন, ফ্লেভনয়েড, লিউটিনসমৃদ্ধ মিষ্টিকুমড়া। সবজিটি পাওয়া যায় সারা বছরই।
এতে থাকা ভিটামিন অ, বিটাক্যারোটিন চোখের জন্য খুব ভালো। রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে। বিটাক্যারোটিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যেসব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে, সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। শরীরের কোষ নষ্ট হতে শুরু করে। খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এসব প্রতিরোধ করে মিষ্টিকুমড়া। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে। কোলেস্টেরল কমায়। মিষ্টিকুমড়ার ভিটামিন ঈ সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। ভিটামিন অ ও ঈ চুল ও ত্বক ভালো রাখে। চুল রাখে উজ্জ্বল, ত্বক রাখে টানটান। বার্ধক্য আটকায় মিষ্টিকুমড়া। এতে ফাইবার ও পটাসিয়াম রয়েছে প্রচুর। ফাইবার খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বের করে ওজন রাখে নিয়ন্ত্রণে। যে কোনো ভারী খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে একগ্লাস কুমড়ার জুসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ৩ বেলা খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়।